ইমরান খানের পিটিআই'র কেন্দ্রীয় কার্যালয় সিলগালা, গওহর আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ
ইসলামাবাদে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গওহর আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কার্যালয়টি সিলগালা করে দেয়া হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআইকে নিষিদ্ধ করার সরকারি সিদ্ধান্তের এক সপ্তাহ পর দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ অভিযান চালালো পুলিশ।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গতকাল (সোমবার) এ অভিযান চালায় আইনশৃঙ্ক্ষলা রক্ষাবাহিনী। সেখান থেকে পিটিআইয়ের মুখপাত্র রউফ হাসানকে রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণা চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া, পিটিআইয়ের মিডিয়া বিভাগের সমন্বয়কারী আহমেদ জানজুয়াকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিকে, জিও টেলিভিশনের অনলাইন সংস্করণে বলা হয়েছে, আজ (মঙ্গলবার) ইসলামাবাদের একটি জেলা ও দায়রা আদালতে রউফ হাসানের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
এর আগে, ১৫ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার জানান, পিটিআই নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দলটির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী কার্যক্রমের অভিযোগ এনে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান তিনি।
আতাউল্লাহ তারার বলেন, ‘ফেডারেল সরকার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে নিষিদ্ধ করতে একটি মামলা করবে। দেশকে যদি সামনের দিকে নিয়ে যেতে হয়, তবে পিটিআইয়ের অস্তিত্ব থাকতে পারবে না; পিটিআই এবং পাকিস্তান সহাবস্থান করতে পারে না।’
আতাউল্লাহ আরও বলেন, ‘বিদেশি তহবিল মামলা, ৯ মে’র দাঙ্গা এবং সাইফার (রাষ্ট্রীয় গোপন তথি ফাঁস) মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বিশ্বাস করি যে, পিটিআইকে নিষিদ্ধ করার জন্য বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে।’
গত ৮ ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে পিটিআইকে অযোগ্য ঘোষণা করেছিল পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। ফলে দলগতভাবে না নিয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে অংশ নিয়ে পিটিআইয়ের প্রার্থীরা ব্যাপক সফলতা পান। কিন্তু নির্বাচনের আগে পিটিআইয়ের দলীয় প্রতীক নিষিদ্ধ করা হয়। এ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ আনে পিটিআই। নির্বাচনের পর পিটিআইকে সংরক্ষিত আসনও দেওয়া হয়নি। তবে গত শুক্রবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বলেন, পিটিআই দল হিসেবে যোগ্য। তারা ২০টির বেশি সংরক্ষিত আসন পাবে। এমনটি হলে দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ সাধারণ পরিষদে একক দল হিসেবে পিটিআই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। এতে দেশটির বর্তমান দুর্বল জোট সরকার আরও চাপে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। তাই পিটিআইকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, সংরক্ষিত আসনের বিষয়েও সরকার আইনের আশ্রয় নেবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার।#
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২৩
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।