ফাতাহসহ ফিলিস্তিনের ১৪টি দলের সঙ্গে 'জাতীয় ঐক্য' চুক্তি করল হামাস
https://parstoday.ir/bn/news/event-i139872
গাজাভিত্তিক ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস জানিয়েছে যে, ফিলিস্তিনে 'জাতীয় ঐক্য' প্রতিষ্ঠার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে তারা পশ্চিম তীরের ফাতাহ আন্দোলনসহ অন্যান্য দলের সঙ্গে বেইজিংয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ফিলিস্তিনের ১৪টি দলের প্রতিনিধিরা এতে স্বাক্ষর করেছেন।
(last modified 2025-07-09T12:00:31+00:00 )
জুলাই ২৩, ২০২৪ ১৮:৪৬ Asia/Dhaka
  • বেইজিংয়ে ফিলিস্তিনের ১৪টি দলের প্রতিনিধিরা
    বেইজিংয়ে ফিলিস্তিনের ১৪টি দলের প্রতিনিধিরা

গাজাভিত্তিক ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস জানিয়েছে যে, ফিলিস্তিনে 'জাতীয় ঐক্য' প্রতিষ্ঠার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে তারা পশ্চিম তীরের ফাতাহ আন্দোলনসহ অন্যান্য দলের সঙ্গে বেইজিংয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ফিলিস্তিনের ১৪টি দলের প্রতিনিধিরা এতে স্বাক্ষর করেছেন।

আজ (মঙ্গলবার) চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই'র সঙ্গে বৈঠকের পর হামাসের রাজনৈতিক শাখার সদস্য মুসা আবু মারজুক বলেছেন, “আজ আমরা জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করছি এবং আমরা জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"  

টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে হামাসের মুখপাত্র হোসাম বদরান বলেন, "এই ঘোষণাটি ‘ফিলিস্তিনি জাতীয় ঐক্য অর্জনের পথে একটি অতিরিক্ত ইতিবাচক পদক্ষেপ।" 

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে হামাস, ইসলামিক জিহাদ, ফাতাহ আন্দোলন, লিবারেশন অফ প্যালেস্টাইন (পিএফএলপি) এবং ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অফ প্যালেস্টাইন বা ডিএফএলপি'র প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র সঙ্গে ফাতাহ নেতা মাহমুদ আল আলোল ও হামাস নেতা আবু মুসা মারজুক।

বৈঠক শেষে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বেইজিংয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, "চীন ও ফিলিস্তিন হলো পরস্পরের অংশীদার। চীন আশা করে, ফিলিস্তিনের দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হবে।"

এর আগে, ফিলিস্তিনের ১৪টি দলের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা চীনের আমন্ত্রণে গত ২১ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত বেইজিংয়ে সমঝোতা-সংলাপে অংশগ্রহণ করেন এবং সংলাপ শেষে যৌথ ঘোষণায় স্বাক্ষর করেন।

চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় পলিট ব্যুরোর সদস্য ও দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই সংলাপের সমাপনী অনুষ্ঠানে বলেন, ফিলিস্তিনের ১৪টি দলের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে, যা গুরুত্বপূর্ণ। সংলাপে অংশগ্রহণকারীরা গাজা যুদ্ধের অবসানের পর জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠনে একমত হয়েছে বলে তিনি জানান।

ওয়াং ই বলেছেন, যুদ্ধোত্তর গাজার নিয়ন্ত্রণ ও শাসন করতে হামাস ও ফাতাহ উভয়ই একটি ‘অন্তর্বর্তী জাতীয় ঐক্যের সরকার’ গড়ার কাজ শুরু করেছে।

স্বাক্ষরকারী ১৪টি গোষ্ঠীর অন্যতম প্যালেস্টিনিয়ান ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভ-এর মহাসচিব মুস্তাফা বারঘুতি বলেন, এই চুক্তি সাম্প্রতিক সময়ে হওয়া যেকোনো চুক্তির চেয়ে আরও অনেকটা পথ এগিয়ে যাবে। তিনি জানান, "এই চুক্তির প্রধান চারটি উপাদান হলো, একটি অন্তর্বর্তী জাতীয় ঐক্যের সরকার প্রতিষ্ঠা, ঐক্যবদ্ধ ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব তৈরি, প্যালেস্টিনিয়ান ন্যাশনাল কাউন্সিল নির্বাচন ও চলমান ইসরাইলি আগ্রাসনের মোকাবিলায় একটি ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক।"

২০০৭ সালে হামাস ও ফাতাহের মধ্যে সংকট শুরু হয়। হামাসের নেতৃত্বে গঠিত ঐক্য সরকার ভেঙে দেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট ও ফাতাহ নেতা মাহমুদ আব্বাস। এরপর গাজা থেকে ফাতাহকে সরিয়ে ওই উপত্যকার একমাত্র শাসক হয়ে ওঠে হামাস। এর আগের বছরই অবশ্য হামাস জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল। ওই বিভেদের পর থেকে ফাতাহ নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ (পিএ) অধিকৃত পশ্চিম তীরের কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২৩