'বাংলাদেশে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ'
(last modified Tue, 30 Jul 2024 13:10:07 GMT )
জুলাই ৩০, ২০২৪ ১৯:১০ Asia/Dhaka
  • স্টিফেন ডুজারিক
    স্টিফেন ডুজারিক

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানিয়েছেন, বাংলাদেশে চলমান ছাত্র আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে।

সোমবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বের শুরুতে তিনি বাংলাদেশে চলমান ছাত্র আন্দোলনে সব রকম সহিংসতার দ্রুত, স্বচ্ছ এবং পক্ষপাতিত্বহীন তদন্তের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং এর জন্য যারা দায়ী তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

স্টিফেন ডুজারিক জানান, নতুন করে ছাত্র আন্দোলন শুরু হওয়ার বিষয়ে তিনি অবহিত এবং শান্তি ও সংযমের জন্য তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

ডুজাররিক আরও জানান, বর্তমান ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে হাজারো তরুণ এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের গণগ্রেপ্তারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার চর্চার ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়ার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। 

জোসেপ বোরেল

এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বাংলাদেশ সরকারের ‘শ্যুট অন সাইট নীতি’ এবং বেআইনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন।

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন বলে ইইউ'র বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

আজ (মঙ্গলবার) এক বিবৃতিতে জোসেপ বোরেল বলেন, "গত ২৭ জুলাই লাওসে আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের যোগ দিয়ে আমি বাংলাদেশের প্রতিনিধি এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করি। এ সময় সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বাংলাদেশে কর্তৃপক্ষের ‘শ্যুট অন সাইট নীতি’ এবং বেআইনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানাই।"

তিনি আরও বলেন, "আমি বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের হত্যা, সহিংসতা, নির্যাতন, গণগ্রেফতার এবং সংঘটিত সম্পত্তির ক্ষতি নিয়েও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এসব ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। প্রতিবাদকারী, সাংবাদিক ও ছোট শিশুসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত এবং প্রাণঘাতী বল প্রয়োগের অসংখ্য ঘটনার জন্য অবশ্যই পূর্ণ জবাবদিহিতা থাকতে হবে।" 

বোরেল বলেন, "গ্রেফতার হওয়া হাজার হাজার লোকের যথাযথ প্রক্রিয়ায় বিচার করতে হবে। আমরা এ সংকটের প্রেক্ষাপটে কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করব। ইইউ-বাংলাদেশ সম্পর্কের মৌলিক বিষয়গুলো মাথায় রেখে সব ধরনের মানবাধিকারকে সম্পূর্ণভাবে সম্মান করা হবে বলে আশা করি।"

পার্সটুডে/এমএআর/৩০

ট্যাগ