সাইয়্যেদ নাসরুল্লাহর সঙ্গে শহীদ হন ইরানের এই সেনা কর্মকর্তা
জেনারেল নিলফোরুশনের মরদেহ উদ্ধার: দাফনের তারিখ ঘোষণা করা হবে
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে গতমাসে ইসরাইলি আগ্রাসী হামলায় শহীদ ইরানি জেনারেল আব্বাস নিলফোরুশনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র পদস্থ কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নিলফোরুশনের দেহ বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠ ‘দাহিয়ে’র একটি বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে উদ্ধার করা হয়।
আইআরজিসি’র গণযোগাযোগ অধিদপ্তর গতকাল (শুক্রবার) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, নিলফোরুশন ছিলেন ইরানের অন্যতম সিনিয়র সামরিক উপদেষ্টা এবং অবিচল ও বুদ্ধিদীপ্ত সেনা কর্মকর্তা। তিনি ‘নির্দয় ও রক্তপিপাসু ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বরতায়’ শহীদ হন।
আইআরজিসি’র বিবৃতিতে ইরানি এই জেনারেলের শাহাদাতে তার পরিবারবর্গের পাশাপাশি আঞ্চলিক প্রতিরোধ ফ্রন্টকে সমবেদনা জানিয়ে বলা হয়েছে, তার মরদেহ ইরানে নিয়ে আসা এবং জানাযা ও দাফন অনুষ্ঠানের তারিখ ও সময় পরে জানানো হবে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর বৈরুতের দাহিয়ে এলাকায় ইসরাইলি বাহিনীর যে ভয়াবহ বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ শহীদ হন সেই একই হামলায় জেনারেল নিলফোরুশন শাহাদাতবরণ করেন।
ইরান ওই হামলার পাশাপাশি গাজা উপত্যকা ও লেবাননে ইসরাইলি পাশবিকতার প্রতিশোধ নিতে ১ অক্টোবর রাতে ইহুদিবাদী ইসরাইলের কয়েকটি সামরিক ও গোয়েন্দা ঘাঁটিতে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। ইরানের ওই হামলায় ইসরাইলি ঘাঁটিগুলো ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়; যদিও ক্ষতির ধরন ও পরিমাণ গোপন রেখেছে তেল আবিব। ইসরাইলের পাশাপাশি মার্কিন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়।
ইহুদিবাদী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও যুদ্ধমন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ‘ভয়ানক জবাব’ দেয়া হবে বলে হুমকি দিলেও তেল আবিব এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করেনি। ইরান বলেছে, ইসরাইল ইরানে হামলা চালালে তেলআবিবে তেহরানের পরবর্তী হামলা হবে আরো ভয়ঙ্কর।#
পার্সটুডে/এমএমআই/১২
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।