'ছাত্রলীগ পুরো জাতিকে জিম্মি করে রেখেছিল'
‘নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের হাতে ১৫ বছরে ৮৬ জন নিহত, ১৪ নারী ধর্ষিত'
২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের হাতে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পর্যায়ে ৮৬ জন নিহত হয়েছেন। আজ (শনিবার) জাতীয় প্রেসক্লাবে নিরাপদ বাংলাদেশ চাই-এর আয়োজনে ‘শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
সেমিনারে ‘ছাত্র রাজনীতির অন্ধকারের এক যুগ’ বিষয়ক গবেষণা প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়, 'নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের হাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিহত হয়েছে ৫১ জন। এ সময় ধর্ষিত হয়েছেন ১৪ জন নারী। যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে ৬৯। এই ১৫ বছরে নির্যাতিত হয়েছে এক হাজার ৩২ জন শিক্ষার্থী। এছাড়া ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৫৩টি চাঁদাবাজি, ৩৯টি টেন্ডারবাজি ও ৩০টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছে ছাত্রলীগ। নিজেদের দলীয় কোন্দলে প্রাণ হারিয়েছে ৪৭ জন। পরীক্ষায় নকল জালিয়াতি ও ভুয়া বাণিজ্যে গত ১৫ বছরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ৩৭টি ঘটনার সবগুলোর সঙ্গেই ছাত্রলীগ জড়িত ছিল।'
অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যেন সন্ত্রাসের আখড়া না হয় সেদিকে খেয়াল রাখছে অন্তর্বর্তী সরকার। সেইসঙ্গে ভবিষ্যতে নির্বাচিত সরকারকেও সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
শফিকুল আলম আরও বলেন, এই সরকার চায় বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিরাপদ হোক। ক্যাম্পাসগুলো কোনভাবেই সন্ত্রাসীর আড্ডা বানাতে দেওয়া হবে না। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ছিল ফ্যাসিবাদের মূল সৈনিক। ছাত্রলীগ পুরো জাতিকে জিম্মি করে রেখেছিল। বাংলাদেশকে নিরাপদ করতে হলে শিক্ষাঙ্গনকে নিরাপদ করতে হবে। আরেকটি ছাত্রলীগ যাতে তৈরি না হয় শিক্ষাঙ্গনে সে ব্যবস্থা সবাই মিলে নিতে হবে। সবার খেতর সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ করে অন্তর্বর্তী সরকার।#
পার্সটুডে/এমএআর/৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।