মধ্যপ্রাচ্যে অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করুন: ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়াকে তেহরান
https://parstoday.ir/bn/news/event-i145070
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করার জন্য ব্রিটেন এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এ দুটি দেশ যে হস্তক্ষেপ চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের সেই নীতিতে পরিবর্তন আনা উচিত।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
ডিসেম্বর ২১, ২০২৪ ১১:৩৮ Asia/Dhaka
  • ইসমাইল বাকায়ি
    ইসমাইল বাকায়ি

ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করার জন্য ব্রিটেন এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এ দুটি দেশ যে হস্তক্ষেপ চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের সেই নীতিতে পরিবর্তন আনা উচিত।

ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিশোধমূলক অভিযানের সমালোচনা করে সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া এবং ব্রিটেন যে বিবৃতি দিয়েছে তার জবাবে ইসমাইল বাকায়ি গতকাল (শুক্রবার) এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এ দুটি যে বিবৃতি দিয়েছে তা ভিত্তিহীন এবং অবাস্তব; প্রকৃত ঘটনার সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। 

ব্রিটেন এবং অস্ট্রেলিয়ার এই বিবৃতিকে ইসমাইল বাকায়ি পক্ষপাতপূর্ণ বলে নিন্দা করেন। তিনি জোরালো ভাষায় বলেন, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে যে দুই দফা সামরিক অভিযান চালিয়েছে তা আত্মরক্ষার জন্য বৈধ অধিকার ও জাতিসংঘ সনদ অনুসারেই করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসের কনসুলার বিভাগের ওপর ইহুদিবাদী ইসরাইলের হামলার পর ইরান অপারেশন ট্রু প্রমিজ-ওয়ান এবং রাজধানী তেহরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ট্রু প্রমিজ-টু অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। 

রাশিয়ার কাছে ইরান ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে বলে অস্ট্রেলিয়া ও ব্রিটেনসহ পশ্চিমা দেশগুলো যে অভিযোগ করে আসছে তাও নাকচ করেন ইসমাইল বাকায়ি। ইসরাইলের প্রতি আমেরিকা, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ার অন্ধ সমর্থনের কথা উল্লেখ করে মুখপাত্র বলেন, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার সামরিক বাহিনী যে বর্বর আগ্রাসন ও গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে সে ব্যাপারে পাশ্চাত্যের এসব দেশকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।#

পার্সটুডে/এসআইবি/এমএআর/২১