টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ করল যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তারা
(last modified Mon, 23 Dec 2024 07:43:24 GMT )
ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ ১৩:৪৩ Asia/Dhaka
  • টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ করল যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তারা

যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক ও তার পরিবারের সদস্যদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন দেশটির মন্ত্রিপরিষদ কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশের একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণসংক্রান্ত চুক্তির মাধ্যমে টিউলিপ সিদ্দিক ও তার পরিবারের চার সদস্য চার বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাৎ করেছেন—এমন অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশে অনুসন্ধান চলছে।

টিউলিপ সিদ্দিককে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন—এ বিষয় প্রকাশ হওয়ার পর গতকাল (রোববার) তাকে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিপরিষদ অফিসের কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করলেন।

দুদক গত সপ্তাহে টিউলিপ সিদ্দিক (৪২), তার মা শেখ রেহানা (৬৯) ও খালা শেখ হাসিনার (৭৭) বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে।

বাংলাদেশের হাইকোর্ট অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য দুদককে নির্দেশ দেন।

টিউলিপ সিদ্দিক ও তার পরিবারের সদস্যরা ভুয়া কোম্পানি ও মালয়েশিয়ার একাধিক ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে চার বিলিয়ন পাউন্ড যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেছেন বলে অভিযোগের (রিট) ওপর শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন।

অভিযোগ সামনে আসার পর সম্প্রতি বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট বলেছে, টিউলিপ সিদ্দিকের ওপর প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের আস্থা রয়েছে। টিউলিপ সিদ্দিক তাঁর দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন।

দ্য টেলিগ্রাফ–এর প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থ আত্মসাতে সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক। যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির কর্মকর্তারা এসব অভিযোগকে ‘মিথ্যা’ বলে বর্ণনা করেছেন।

যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম মেইল অন সানডে জানিয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিক ও অন্যদের সঙ্গে সম্পর্কিত ‘তথ্যগত প্রমাণ’ (ডকুমেন্টারি এভিডেন্স) সংগ্রহ করছেন পাঁচজন তদন্ত কর্মকর্তা। এ বিষয়ে টিউলিপ সিদ্দিকসহ অন্যদের বক্তব্য জানানোর জন্য তদন্তকারীরা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তাদের চিঠি দিতে পারেন।

পত্রিকাটি বলেছে, দুদক বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনের মাধ্যমে টিউলিপ সিদ্দিককে চিঠি পাঠাবে। নাম প্রকাশ না করা কর্মকর্তারা পত্রিকাটিকে বলেছেন, অভিযোগের বিষয়ে ওই সব ব্যক্তির বক্তব্য পেলে তদন্ত কর্মকর্তারা বিষয়টি মূল্যায়ন করবেন যে তাদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তথ্যবিবরণী (এফআইআর) দায়ের করবেন কি না।

এফআইআর হলে টিউলিপ সিদ্দিক একজন সম্ভাব্য সন্দেহভাজন আসামি হবেন। আর এতে বাংলাদেশি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পাবে। দুদকের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘তদন্ত অনুসন্ধান পর্যায়ে রয়েছে। তদন্ত শেষ হলে আমরা সবাইকে চিঠি পাঠাব। জবাব দেওয়ার জন্য তাঁকে (টিউলিপ সিদ্দিক) ডাকা হবে।’

দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বলেছেন, তাঁরা যে চিঠি পাঠাবেন, তা টিউলিপ সিদ্দিক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ‘আত্মপক্ষ’ সমর্থনের সুযোগ দেবে।#

পার্সটুডে/জিএআর/২৩