গাজায় যুদ্ধবিরতির আর খুব বেশি বাকি নেই: হামাস
https://parstoday.ir/bn/news/event-i145816-গাজায়_যুদ্ধবিরতির_আর_খুব_বেশি_বাকি_নেই_হামাস
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য মুসা আবু মারজুক বলেছেন: ২০ জানুয়ারির আগেই একটি চুক্তিতে পৌঁছানো এবং যুদ্ধ সমাপ্তির ব্যাপারে আমরা ভীষণ আশাবাদী।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
জানুয়ারি ১০, ২০২৫ ১৮:০২ Asia/Dhaka
  • হামাস নেতা মুসা আবু মারজুক
    হামাস নেতা মুসা আবু মারজুক

হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য মুসা আবু মারজুক বলেছেন: ২০ জানুয়ারির আগেই একটি চুক্তিতে পৌঁছানো এবং যুদ্ধ সমাপ্তির ব্যাপারে আমরা ভীষণ আশাবাদী।

আল-আলমের উদ্ধৃতি দিয়ে পার্সটুডে আরও জানিয়েছে আবু মারজুক বলেছেন: ২০ জানুয়ারির আগে সমঝোতায় পৌঁছানো এবং যুদ্ধ বন্ধের প্রবল সম্ভাবনার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। তিনি বলেন নেতানিয়াহুই সমঝোতায় পৌঁছানোর পথে প্রধান বাধা ছিল এবং আজও আছেন।

এই আশাবাদের পেছনে যৌক্তিক কারণ হিসেবে তিনি বলেন: আমেরিকার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবস্থান বিপক্ষে। তিনি চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য এবং যুদ্ধ শেষ করার জন্য ২০শে জানুয়ারী তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এর পাশাপাশি মধ্যস্থতাকারী সকল পক্ষের বৈঠকে 'ইসরাইলি' প্রতিনিধি দলের ক্ষমতা সীমিত করা, গাজায় একটি সম্পূর্ণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য ইহুদিবাদী সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহলের ক্রমাগত চাপ ইত্যাদি কারণে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোসহ  যুদ্ধের অবসান ঘটানো থেকে খুব বেশি দূরে নই বলে মন্তব্য করেন হামাসের এই নেতা।

আবু মারজুক আরও বলেন দখলদার ইহুদিবাদী সেনাবাহিনী তাদের কোনও লক্ষ্যই অর্জন করতে পারেনি। কাজেই গাজা যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার অর্থ হলো আরও ইসরাইলি বন্দীকে হত্যা করা। এছাড়াও বেশিরভাগ ইহুদিবাদী বিশেষ করে বন্দীদের পরিবার ইহুদি নেতাদের প্রতি চাপ দিচ্ছে তারা যেন যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছায় এবং যুদ্ধ বন্ধের পদক্ষেপ নেয়।

এই আহ্বান এমন এক সময় জানানো হলো যখন হামাসের প্রতিরোধ অব্যাহত গতিতে চলছে এবং ফিলিস্তিনি জনগণ তাদের অঙ্গিকারে অটল রয়েছে। অপরদিকে ইসরাইলের প্রতি বিশ্বের ক্রোধ ও ক্ষোভ ব্যাপক মাত্রায় ফুঁসে উঠেছে। সব মিলিয়ে গাজায় যুদ্ধ বন্ধে সম্মত হওয়া ছাড়া ইসরাইলের সামনে আর কোন পথ খোলা নেই।

আবু মারজুক গাজার শাসনব্যবস্থার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বলেন: গাজা উপত্যকা শাসন করার কোন ইচ্ছা নেই হামাসের। হামাসের এই অবস্থান বিভিন্ন গোষ্ঠীর কাছে অজানা নয়। আল-আকসা তুফান অভিযানের আগেও আমরা আমাদের মধ্যে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির পথে বাধা সৃষ্টিকারী সকল প্রতিবন্ধকতাগুলো অতিক্রম করার চেষ্টা করেছি।

তিনি আরও বলেন: মিশর সম্প্রতি গাজা উপত্যকা পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে। ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে টেকনোক্র্যাট ব্যক্তিত্বদের এমন একটি দল থাকবে যাদের ব্যাপারে সকলেই একমত হবে। তবে ওই কমিটিতে ফাতাহ ছাড়া ফিলিস্তিনের সকল দলেরই অংশগ্রহণ থাকবে। এই অভিমত সবাই গ্রহণ করেছে,আমরাও গ্রহণ করি। তবে হামাসের এই নেতা শর্ত দিয়েছেন: এই কমিটি সৎ এবং দুর্নীতিমুক্ত ব্যক্তিত্বদের সমন্বয়ে গঠিত হতে হবে।#

পার্সটুডে/এনএম/১০

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।