আল-কাসসাম ব্রিগেডের হুঁশিয়ারি
ইসরাইলি হামলা মুক্তি পেতে যাওয়া পণবন্দিদের জীবন বিপন্ন করে তুলেছে
-
কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবায়দা
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণের ফলে মুক্তি পেতে যাওয়া ইসরাইলি পণবন্দিদের জীবন বিপন্ন হয়ে উঠেছে।
হামাসের সামরিক বাহিনী ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেড বৃহস্পতিবার রাতে নিজেদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বর্তমান পর্যায়ে এসে যেকোনো আগ্রাসন বা গোলাবর্ষণ একজন পণবন্দির মুক্তি পাওয়ার আনন্দকে বেদনায় পরিণত করতে পারে।”
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় আটক কয়েক ডজন পণবন্দিকে ইসরাইলি ভয়াবহ গণহত্যা থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে এসেছেন হামাস যোদ্ধারা। কিন্তু ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেড বলছে, যুদ্ধবিরতি ঘোষিত হওয়ার পরও আগ্রাসন চালিয়ে গেলে পণবন্দিদের বাঁচিয়ে রাখা দুঃসাধ্য হয়ে যাবে।
এদিকে কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবায়দা জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপে মুক্তি পেতে যাওয়া একজন ইসরাইলি পণবন্দিকে যেখানে রাখা হয়েছে বৃহস্পতিবার ইসরাইলি বাহিনী সেখানে বোমাবর্ষণ করেছে।
অন্যদিকে হামাস ইসরাইলের সঙ্গে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির ধারাগুলো শেষ মুহূর্তে পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে বলে তেল আবিব যে অভিযোগ করেছে তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে হামাস বলেছে, তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতি সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে। হামাসের সিনিয়র নেতা ইজ্জাত আর-রিশক এক বিবৃতিতে বলেছেন, “মধ্যস্থতাকারীদের পক্ষ থেকে ঘোষিত যুদ্ধবিরতির প্রতি আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি।”
কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীরা বুধবার রাতে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার ঘোষণা দেন। তারা জানান, রোববার, ১৯ জানুয়ারি থেকে এই চুক্তি কার্যকর হবে। ইহুদিবাদী ইসরাইল ও হামাসের পক্ষ থেকেও একথা নিশ্চিত করা হয়। কিন্তু চুক্তির বাস্তবায়ন শুরু হওয়ার আগে দখলদার বাহিনী যথাসম্ভব আরো বেশি গাজাবাসীকে হত্যার নেশায় মেতে উঠেছে। বৃহস্পতিবার উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে ইসরাইলি বিমান হামলায় শতাধিক ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছেন।#
পার্সটুডে/এমএমআই/এমএআর/১৭
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।