মুক্তি পেলেন ২০০ ফিলিস্তিনি বন্দি
২০২৩ সালের অক্টোবরে আটক চার ইসরাইলি নারী সৈন্যকে মুক্তি দিল হামাস
-
গাজা শহরের ফিলিস্তিন চত্বরে তৈরি করা মঞ্চে চার নারী সেনাকে বিদায় জানানো হয়।
গাজায় কার্যকর যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তি অনুযায়ী আরো চার ইসরাইলি নারী সেনাকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।
আজ (শনিবার) দুপুরে গাজা শহরের ফিলিস্তিন চত্বরে তৈরি করা মঞ্চে ওই চার নারী সেনাকে বিদায় জানানো হয়। সেখানে হামাস ও ইসলামিক জিহাদের কয়েকজন ডজন যোদ্ধার উপস্থিতিতে তাদেরকে রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় তাদের হাস্যোজ্জ্বল ও হাত নাড়িয়ে আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা যায়। মুক্তিপ্রাপ্ত চার নারী সেনার প্রত্যেকে একটি করে ব্যাগ বহন করে যেখানে হিব্রু ভাষায় 'ইহুদিবাদ জয়লাভ করবে না' লেখা একটি বার্তা সুসজ্জিতভাবে লেখা ছিল।
মুক্তি পাওয়া চার ইসরাইলি সেনা হলেন, কারিনা আরিয়েভ, ড্যানিয়েলা গিলবোয়া, নামা লেভি এবং লিরি আলবাগ। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা গাজা সীমান্তের কাছে ইসরাইলি একটি সামরিক ঘাঁটি ধ্বংস করেন। পরে সেখান থেকে ইসরাইলি এই চার নারী সৈন্যকে আটক করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, গাজায় হামাসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া চার ইসরাইলি সেনা ইসরাইলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে। এই তথ্য ইসরাইলি সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে। এই চার বন্দির মুক্তির বিনিময়ে আজই ২০০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরাইল।
মুক্তিপ্রাপ্ত ২০০ ফিলিস্তিনির মধ্যে ১২১ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন। এদের মধ্যে হামাসের ৮১ জন, ইসলামিক জিহাদের ২৩ জন, ফাতাহের ১৩ জন, পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশনের দুই জন এবং ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশনের একজন রয়েছেন। মুক্তিপ্রাপ্ত কিছু ফিলিস্তিনি গাজায় এবং বাকিরা ইসরাইল অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিরে গেছেন।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় এবং ওই দিনই প্রথম দফায় হামাস তিন ইসরাইলি নারী সেনাকে মুক্তি দেয়। এর বিনিময়ে ইহুদিবাদী সরকার ৯০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেয়। প্রথম দফায় মুক্তিপ্রাপ্ত এই ৯০ জনের সবাই অধিকৃত পশ্চিম তীরের অফের কারাগার থেকে মুক্তি পান।#
পার্সটুডে/এমএআর/২৫