তালিকা গ্রহণ করেছে তেল আবিব
প্রথম ধাপে মুক্তি পেতে যাওয়া ৩৩ জনের মধ্যে ২৫ পণবন্দি জীবিত: হামাস
-
গাজায় আটক ইসরাইলি বন্দিদের সম্পর্কে তথ্য খুঁজছে তেল আবিব।
গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে যে ৩৩ ইসরাইলি পণবন্দিকে মুক্তি দেয়ার কথা রয়েছে তাদের মধ্যে জীবিত ২৫ জনের তালিকা মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে তেল আবিবের কাছে হস্তান্তর করেছে হামাস।
সংগঠনটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ইসরাইল ওই তালিকা গ্রহণ করেছে। ধারনা করা হচ্ছে, ৩৩ জনের মধ্যে বাকি আট জনের মৃত্যু হয়েছে।
গাজায় গত ১৯ জানুয়ারি কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে বলা হয়েছে, এর প্রথম পর্যায় ছয় সপ্তাহ স্থায়ী হয়ে এবং এ সময়ে ৩৩ ইসরাইলি পণবন্দির বিনিময়ে প্রায় এক হাজার ফিলিস্তিনি বন্দি ইসরাইলি কারাগারগুলো থেকে মুক্তি পাবেন।
৩৩ জনের মধ্যে এরইমধ্যে দুই ধাপে সাত ইহুদিবাদী নারী পণবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। বাকি ২৬ জনের মধ্যে ১৮ জন জীবিত রয়েছেন।
ওদিকে ইসরাইলি পণবন্দিদের পরিবারবর্গ চলমান যুদ্ধবিরতি ভণ্ডুল করার যেকোনো প্রচেষ্টা চালানোর ব্যাপারে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভাকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে। তারা সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছে, কোনো কোনো মন্ত্রী এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব হামাসের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি বানচাল করার চেষ্টা করছেন যা গ্রহণযোগ্য নয়।
হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে গত সপ্তাহে পদত্যাগ করা উগ্র ডানপন্থি মন্ত্রী বেন-গাভিরের এক বক্তব্যের পর ওই বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। বেন-গাভির হামাসের সঙ্গে তেল আবিবের স্বাক্ষরিত চুক্তিকে অবৈধ ও ইসরাইলের জন্য বিপর্যয়কর বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, দক্ষিণ গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের উত্তর গাজায় প্রত্যাবর্তন হামাসের জন্য বিজয় এবং ইসরাইলের জন্য সম্পূর্ণ পরাজয়ের ইঙ্গিত বহন করছে।
বেন-গাভির বলেন, “এটিকে সম্পূর্ণ বিজয়ের মতো মনে হচ্ছে না বরং সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণের মতো মনে হচ্ছে।” ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় আগ্রাসন চালানোর আগে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু হামাসকে ধ্বংস করে ‘সম্পূর্ণ বিজয়’ অর্জন না করা পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ না করার যে হুমকি দিয়েছিলেন সেদিকে ইঙ্গিত করে বেন-গাভির একথা বলেন।#
পার্সটুডে/এমএমআই/এমএআর/২৮