ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য:
ইসরাইল পরাজিত হওয়াতেই হামাসের সঙ্গে আলোচনায় বাধ্য হয়েছে
-
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে আগ্রাসী যুদ্ধে নিজের একটি লক্ষ্যও অর্জন করতে পারেনি। এর পরিবর্তে তেল আবিব গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী হামাসের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বাধ্য হয়েছে।
গতকাল (মঙ্গলবার) রাজধানী তেহরানে আল-আকসা তুফান অভিযান ও গাজা যুদ্ধ সম্পর্কে এক সেমিনারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন আরাকচি। তিনি বলেন, ইহুদিবাদী প্রধানমন্ত্রীকে আন্তর্জাতিক আদালত যুদ্ধাপরাধী ঘোষণা করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। এটিকে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের আরেকটি বিজয় হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে।
তিনি যুদ্ধের সময় ন্যারেটিভ তৈরির গুরুত্ব এবং পররাষ্ট্রনীতিতে ন্যারেটিভ তৈরির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কূটনীতি ও যুদ্ধের ময়দান পৃথক কোনো বিষয় নয় বরং এ দু’টি অঙ্গাঙ্গিভাবে কাজ করে। কূটনীতিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ন্যারেটিভকে বড় আকারে তুলে ধরতে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে- উল্লেখ করে আরাকচি বলেন, কূটনীতি এবং যুদ্ধের ময়দান উভয় ক্ষেত্রে বিজয় অর্জন করা সত্ত্বেও গণমাধ্যম জগতে ব্যর্থ হলে সে বিজয় পরাজয়ে পরিণত হতে পারে। তিনি বলেন, এর উল্টোটাও সঠিক।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধের ময়দান, কূটনীতি ও গণমাধ্যম তিনটিকে একত্রে কাজ করতে হবে এবং তাদের প্রত্যেকেরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আরাকচি বলেন, বিগত মাসগুলোতে আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতা ও যুদ্ধের ময়দানে আমাদের তৎপরতার মধ্যে কোনো দূরত্ব ছিল না। গণমাধ্যমও এক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে বলে তিনি জানান।
ফিলিস্তিনে আল-আকসা তুফান অভিযানের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ইসরাইল গাজায় আগ্রাসন চালিয়ে কোনোকিছু অর্জন করেনি এবং প্রতিরোধ যোদ্ধারা বিজয়ের বেশে বের হয়ে এসেছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রতিরোধ হচ্ছে একটি চিন্তাধারা ও দর্শনের নাম যা সহিংসতা বা বিমান হামলা চালিয়ে ধ্বংস করা সম্ভব নয়। প্রতিরোধের মূল অস্ত্র প্রচলিত সমরাস্ত্র নয় বরং শহীদদের আত্মত্যাগ হচ্ছে তাদের প্রধান সামরিক সম্ভার। #
পার্সটুডে/এমএমআই/৫
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।