বন্দী ও শহীদদের অধিকার বাতিলে ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া
(last modified Fri, 14 Feb 2025 09:43:36 GMT )
ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৫ ১৫:৪৩ Asia/Dhaka
  • বন্দী ও শহীদদের অধিকার বাতিলে ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া
    বন্দী ও শহীদদের অধিকার বাতিলে ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া

পার্সটুডে-ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট বন্দী এবং ফিলিস্তিনি শহীদদের পরিবারের অধিকার বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে।

আলআলম নিউজ নেটওয়ার্কের বরাত দিয়ে পার্সটুডে আরও জানিয়েছে, এই পদক্ষেপকে সংশ্লিষ্ট অনেকেই ইহুদিবাদী শত্রুদেরকে দেওয়া একটি বিনামূল্যে ছাড় এবং আমেরিকার চাপের কাছে আত্মসমর্পণ বলে মনে করেন।

ফিলিস্তিনি শহীদ এবং বন্দীদের পরিবারগুলো তাদের এই অধিকারগুলোকে ভর্তুকি কিংবা সাহায্যে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্তকে তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলেছে তাদের এই অধিকারগুলো কোনোভাবেই লঙ্ঘিত হওয়া উচিত নয়। শহীদ দিলাল আল-মাগরিবির বোন এই সিদ্ধান্তকে শহীদদের পরিবারের প্রতি অপমান বলে উল্লেখ করেছেন।

মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি বন্দীরাও বলেছেন যে এই সিদ্ধান্ত তাদের আত্মত্যাগকে জাতির ইতিহাস ও স্মৃতি থেকে মুছে ফেলার প্রচেষ্টা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন: এই পদক্ষেপ যে কেবল ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের জন্যই কোনও লাভ বয়ে আনবে না তা নয়, বরং ইহুদিবাদী শত্রুদেরকে ফিলিস্তিনিদের ওপর আরও বেশি অন্যায় শর্ত আরোপ করতে উৎসাহিত করবে।

ফিলিস্তিনি এক অ্যাক্টিভিস্ট ওয়াফা ইসমাইল বলেছেন: ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বন্দী ও শহীদদের পরিবারের অধিকার কেড়ে নিয়ে আমেরিকার জন্য ব্যাপক ত্যাগ স্বীকার করেছেন।

বিশিষ্ট লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ইয়াসিন ইজ্জাদ্দিনও বলেছেন: ইহুদিবাদী শত্রুদেরকে দেওয়া বিনামূল্যের এই ছাড় ইসরাইলকে আরও দাঙ্গা বাধাতে উৎসাহিত করে।

ফিলিস্তিনি অপর এক কর্মী ইউনূস আবু জারাদ বলেছেন, এই সিদ্ধান্তে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্য ছিল প্রতিরোধ শক্তিকে ধ্বংস করা এবং প্রতিরোধের ধারণাকে নির্মূল করা।#

পার্সটুডে/এনএম/১৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।