আমরা ইরানের পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার পক্ষে: ইসলামাবাদ
-
শাফকাত আলি খান
পার্সটুডে-পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র 'শাফকাত আলী খান' বলেছেন: ইসলামাবাদ ইরানের পরমাণু চুক্তির পুনরুজ্জীবনকে সমর্থন করে।
আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তায় ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের ভূমিকার গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে তিনি ওই মন্তব্য করেন। বার্তা সংস্থা ইরনার উদ্ধৃতি দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, শাফকাত আলি খান ইসলামাবাদে তাঁর সাপ্তাহিক সংবাদ ব্রিফিংয়ে আজ এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন: পাকিস্তান আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তায় ইরানের সক্রিয় ভূমিকা সম্পর্কে সচেতন।
আলি খান বলেন: তেহরান এবং ইসলামাবাদ বিভিন্ন চ্যানেলের মাধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগ রাখছে। উভয় দেশই তাদের জাতির কল্যাণ এবং এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতার জন্য ভূমিকা পালনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইরানের পরমাণু বিষয়ক চুক্তির সমর্থনে দেশটির দৃঢ় অবস্থানের ওপর জোর দিয়ে বলেন: ইসলামাবাদ JCPOA পুনরুজ্জীবনকে সমর্থন করে এবং এর সাথে সম্পর্কিত সকল সমস্যা সমাধানের সচেষ্ট রয়েছে।
আলী খান আরও বলেন: পাকিস্তান আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে এবং সকল বিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের লক্ষ্যে সকল পদক্ষেপ এবং প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে।
ইরনা আরও জানিয়েছে, ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি সর্বদাই পশ্চিমাদের রাজনৈতিক চাপ এবং ভিত্তিহীন অভিযোগের মুখে ছিল এবং আছে। JCPOA-এর আগে পশ্চিমা দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা এবং সামরিক হুমকি ব্যবহার করে ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ২০১৫ সালে 'পোটেনশিয়াল মিলিটারি ডাইমেনশনস বা পিএমডি' বন্ধ হওয়ার পর এই অজুহাতটি দূর হয়ে যায়।
পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরের পর ইরান তার সমস্ত প্রতিশ্রুতি মেনে চলে কিন্তু আমেরিকা ২০১৮ সালে একতরফাভাবে ওই চুক্তি থেকে বের হয়ে যায় এবং ইউরোপও তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়। এর ফলে ইরান তার JCPOA-য়েতে দেওয়া অঙ্গিকারগুলো পালনে বাধ্যবাধকতা হ্রাস করার পদক্ষেপ নেয়। অপরদিকে পশ্চিমাদের গড়িমসি এবং অতিরিক্ত দাবির কারণে JCPOA পুনরুজ্জীবিত করার আলোচনাও ব্যর্থ হয়।
তা সত্ত্বেও ইরান আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার সাথে কূটনৈতিক যোগাযোগ এবং সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। ইরান জোর দিয়ে বলেছে যে অন্যান্য পক্ষ তাদের প্রতিশ্রুতিতে ফিরে এলে চুক্তিটি পুনরুজ্জীবিত করতে প্রস্তুত। জেনেভায় ইউরোপীয় ত্রয়ী দলের সাথে সাম্প্রতিক আলোচনায়ও ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে কূটনীতির মাধ্যমে সমস্যাটি সমাধানের ইচ্ছা তেহরানের রয়েছে। তবে শর্ত হলো নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য প্রকৃত নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।#
পার্সটুডে/এনএম/১৩
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।