'শেখ হাসিনার পথেই হাঁটছে সরকার'
গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ক্লিয়ারেন্স না দিলে হামিদ কী করে বিদেশ গেলেন: রিজভীর প্রশ্ন
-
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী
আওয়ামী লীগ আমলের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশ ছেড়ে যাওয়ার পেছনে সরকারের গাফলতি দেখছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, সবচাইতে বড় সন্দেহ হচ্ছে যে সাবেক রাষ্ট্রপতি যিনি খুনের মামলার আসামি তিনি দেশ ছেড়ে চলে গেলেন। আপনার গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ক্লিয়ারেন্স না দিলে কী করে উনি যেতে পারেন?
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের প্রতীক আবদুল হামিদ কীভাবে গোপনে দেশ ছাড়েন? তার লাল পাসপোর্ট কি এখনও বৈধ? উপদেষ্টা পরিষদ থাকার পরও কেন এ ঘটনা প্রতিরোধ করা যায়নি?’
আজ (রোববার) দুপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ফোরামের উদ্যোগে বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুল হামিদের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, উনি তো শেখ হাসিনার কথায় চলতেন অর্থাৎ শেখ হাসিনার যে মাইন্ডসেট যে মানসিকতা উনারও সেই মানসিকতা দুজনের মধ্যে তো পার্থক্য হবে না। তাহলে সেই ব্যক্তি কিভাবে চলে গেলেন?
তার তো লাল পাসপোর্ট আছে এটা কি সরকার জানতো না, তার লাল পাসপোর্ট বাতিল করা হয়নি কেন? এটা তো সরকার জানতো এটা কি এনএসআই ডিজিএফআই জানতো না? তাহলে তিনি কি করে যেতে পারলেন?
'শেখ হাসিনার পথেই হাঁটছে সরকার'
বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ডে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুরোনো কৌশলেরই পুনরাবৃত্তি দেখা যাচ্ছে।
রিজভী অভিযোগ করেন, সাতক্ষীরা ও কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে লোকজন নির্বিঘ্নে দেশে প্রবেশ করছে, অথচ সরকারের পক্ষ থেকে কোনো উদ্বেগ বা প্রতিক্রিয়া নেই। তিনি বলেন, ‘মানুষ একটি গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে, কিন্তু সরকার নিরবতা পালন করছে। এতে জনগণের মধ্যে সন্দেহ আরও বাড়ছে।’
আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর ভাষায় সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা শিশু-কিশোরদের হত্যা করে ক্ষমতায় থাকার পথ বেছে নিয়েছিলেন। তিনি লোক দেখানো ধর্মাচরণ করতেন, আর গণতন্ত্রের কথা বলতেন।’
তিনি বলেন, ‘এ দেশের মানুষ এখন শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার পার্থক্য পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছে। তারা খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা করে, কারণ তিনি আপসহীন গণতন্ত্রের প্রতীক ছিলেন।’
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও রিজভী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কে আন্তর্জাতিক পরিসরে অপপ্রচার চালালেও, বাংলাদেশ সব সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এই বন্ধুত্ব যদি একতরফা হয়, তা কখনও টেকসই হবে না।
পার্সটুডে/জিএআর/১১