জম্মু-কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদার সিদ্ধান্ত জানাতে হবে ৪ সপ্তাহের মধ্যে: শীর্ষ আদালত

ভারতের সুপ্রিম কোর্ট দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারকে-জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরানো নিয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে ডেডলাইন দিয়েছে।

তবে কেন্দ্রীয় মোদি সরকারের দাবি, কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরানো নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। পহেলগাঁওয়ের মতো ঘটনা যে প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করেছে সেটাও স্বীকার করেছে কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার।

২০১৯ সালের ৫ আগস্ট কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা তুলে নেওয়ার পাশাপাশি উপত্যকার পূর্ণরাজ্যের মর্যাদাও কেড়ে নেওয়া হয়। জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখকে নিয়ে দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করা হয়।

৩৭০ ধারা নিয়ে কাশ্মীরের মানুষের মধ্যে যেমন ক্ষোভ রয়েছে, তেমনই ক্ষোভ রয়েছে পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা হারানো নিয়েও। সেই ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টাও করেছে বিজেপি। ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে উপত্যকায় গিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরানো হবেই। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে এখনও এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই একাধিক মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। ২০২৩ সালে এই নিয়ে কেন্দ্রকে সময়সীমাও বেঁধে দেয় শীর্ষ আদালত। শীর্ষ আদালত কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে নির্দেশনায় জানতে চায় যে,কবে নাগাদ উপত্যকার পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরানো হতে পারে সেটার সময়সীমা জানাতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। তখন কেন্দ্রীয় সরকার কোনও সময়সীমা জানাতে পারেনি। এবার ফের শীর্ষ আদালত মোদি সরকারকে চার সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানোর নির্দেশ দিল।

শুনানিতে মামলাকারীদের আইনজীবী বলেন, 'কাশ্মীরে পহেলগাঁওয়ের মতো ঘটনা কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনেই হয়েছে। তাছাড়া কেন্দ্র নিজে আদালতে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে, দ্রুত তারা রাজ্যের মর্যাদা ফেরাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এখন সেই প্রতিশ্রুতি যদি পূরণ করা না হয়, তাহলে হলফনামার মানেই বা কী!'

মামলাকারীদের দাবি, 'এভাবে যদি পূর্ণরাজ্যকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার অনুমতি দেওয়া হয়, তাহলে যে কোনও রাজ্যকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করবে কেন্দ্র। এরপর হয়তো উত্তরপ্রদেশকেও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করে দেওয়া হবে।' সুপ্রিম কোর্ট সেই বিতর্কে না গেলেও জানিয়ে দিয়েছে, উপত্যকার পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরানো নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। চার সপ্তাহের মধ্যে শীর্ষ আদালতে সেই সিদ্ধান্ত জানাতে হবে।#

পার্সটুডে/জিএআর/১০

• বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।