‘পাক-সৌদি সম্পর্ক জোরদারে অবদান'
সৌদি আরবের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক পেলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির
-
সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স খালিদ বিন সালমানের কাছ থেকে সম্মাননা গ্রহণ করেন পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির
সৌদি আরবের প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স খালিদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ পাকিস্তানের সেনা ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরকে 'কিং আবদুল আজিজ পদক' প্রদান করেছেন। সৌদি–পাকিস্তান সম্পর্ক জোরদার এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এগিয়ে নিতে তাঁর অবদানের স্বীকৃতি হিসেবেই এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
সৌদি গণমাধ্যম জানিয়েছে, গতকাল (রোববার) রিয়াদে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাজা সালমানের রাজকীয় নির্দেশনায় এই পদক প্রদান করা হয়।
'কিং আবদুল আজিজ পদক' সৌদি আরবের সর্বোচ্চ জাতীয় সম্মাননাগুলোর একটি। এর একাধিক স্তর রয়েছে এবং যাঁরা সৌদি আরবের জন্য বিশেষ ও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন, তাঁদের এই পদক দেওয়া হয়।
গতকাল (২১ ডিসেম্বর) সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে গেছেন ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। সেখানে সৌদির যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স খালিদ বিন সালমানের সঙ্গে আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে প্রিন্স খালিদ পাকিস্তানের চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসেবে ফিল্ড মার্শাল মুনিরের নিয়োগে অভিনন্দন জানান এবং তাঁর ভবিষ্যৎ সাফল্য কামনা করেন। বৈঠক শেষে পাকিস্তানের সেনা ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধানকে এই সম্মাননা দেন সৌদি আরবের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
বৈঠকে দুই দেশ সৌদি আরব ও পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের ঐতিহাসিক সম্পর্ক পর্যালোচনা করে। পাশাপাশি প্রতিরক্ষা ও সামরিক সহযোগিতা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি, পরিবর্তনশীল ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে প্রিন্স খালিদ জানান, সৌদি–পাকিস্তান সম্পর্ক উন্নয়ন ও সহযোগিতা বাড়াতে ফিল্ড মার্শাল মুনিরের প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবেই তাঁকে এই পদক দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী সংযোগ বিভাগের (আইএসপিআর) জানায়, এই বৈঠক দুই দেশের গভীর, ঐতিহাসিক ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়টি আবারও পুনর্ব্যক্ত করেছে।
আইএসপিআর আরও জানায়, এই সম্মান আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতায় ফিল্ড মার্শাল মুনিরের নেতৃত্ব ও অবদানের প্রতিফলন, যার মধ্যে সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম ও নিরাপত্তা সহযোগিতাও অন্তর্ভুক্ত।
এই পুরস্কার এমন এক সময়ে দেওয়া হলো, যখন সৌদি আরব ও পাকিস্তানের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ক্রমেই বাড়ছে। চলতি বছরের শুরুতে দুই দেশ একটি কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করে, যেখানে যেকোনো এক দেশের ওপর আগ্রাসন হলে পারস্পরিক সহায়তার অঙ্গীকার করা হয়।#
পার্সটুডে/এমএআর/২২