জানুয়ারি ০১, ২০২৩ ১৮:৪৩ Asia/Dhaka
  • অসমে ‘জাতীয় নাগরিক পঞ্জি’কে বৈধ ঘোষণা করার দাবি জানালেন কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুর রশিদ মণ্ডল

ভারতের বিজেপিশাসিত অসমে বিরোধী দল কংগ্রেসের বিধায়ক আবদুর রশিদ মণ্ডল বলেছেন, ২০১৯ সালের ৩১ আগস্টে প্রকাশিত জাতীয় নাগরিক পঞ্জি বা ‘এনআরসি’ হালনাগাদ তালিকা সরকার কর্তৃক গ্রহণ করা উচিত এবং বৈধ ঘোষণা করা উচিত।

আজ (রোববার) তিনি জাতীয় নাগরিক পঞ্জি বা ‘এনআরসি’  ইস্যুতে রাজ্যের  মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা সরকারকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করেছেন। কংগ্রেস বিধায়ক আবদুর রশিদ মণ্ডলের ওই বিবৃতি এমন সময়ে এলো যখন বিজেপিসাশিত অসম সরকার এবং রাজ্যের বিভিন্ন সংগঠন জাতীয় নাগরিক পঞ্জি বা ‘এনআরসি’ গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি,  ২০১৯ সালের ৩১ আগস্টে প্রকাশিত তালিকায় বিপুল সংখ্যক ‘অবৈধ বিদেশি’র নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

২০১৯ সালের ‘এনআরসি’  তালিকায় ৩.১১ কোটি মানুষের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। সংশোধনীর কারণে ১৯ লাখের বেশি আবেদনকারী তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন।  

কংগ্রেস বিধায়ক আবদুর রশিদ মণ্ডল বলেছেন, ‘বিজেপি ‘এনআরসি’তে ‘অবৈধ  বিদেশী’র নাম অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলছে, কিন্তু তারা কী করছে? ‘এনআরসি’ সম্পূর্ণ হওয়ার সময় ক্ষমতায় কারা ছিল? রাজ্যে ও কেন্দ্রে তাদের সরকার ছিল। এই পরিস্থিতিতে, সরকারের উচিত সেই সমস্ত কর্মকর্তাদের শাস্তি দেওয়া যারা ‘এনআরসি’ প্রক্রিয়ায় জড়িত ছিলেন।’

বিজেপিকে নিশানা করে কংগ্রেস বিধায়ক আবদুর রশিদ মণ্ডল আরও বলেন, ‘এই ‘এনআরসি’ তৈরিতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। ওরা বিদেশিদের নাম করে  ‘এনআরসি’ ইস্যুতে রাজনীতি করতে চাচ্ছে এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। ‘এনআরসি’  থেকে বাদ পড়া ১৯ লাখ মানুষকে তাদের নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য আদালতে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত।’ 

‘সরকারের উচিত এ ধরনের লোকদের প্রত্যাখ্যান স্লিপ দেওয়া। ‘এনআরসি’ তৈরিতে যদি কোনও দুর্নীতি হয় এর জন্য বিজেপি সরকার দায়ী। কারণ, তারা ২০১৪ সাল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারে এবং ২০১৬ সাল থেকে অসমে ক্ষমতায় রয়েছে’ বলেও মন্তব্য করেন কংগ্রেস বিধায়ক আবদুর রশিদ মণ্ডল।#    

পার্সটুডে/এমএএইচ/এমবিএ/১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন   

ট্যাগ