পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমকে সামাজিকভাবে বয়কট প্রসঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় রমন্তব্য; ফিরহাদের বিপরীত অবস্থান  
(last modified Sat, 25 Mar 2023 13:02:05 GMT )
মার্চ ২৫, ২০২৩ ১৯:০২ Asia/Dhaka
  • পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমকে সামাজিকভাবে বয়কট প্রসঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় রমন্তব্য; ফিরহাদের বিপরীত অবস্থান  

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেছেন, ‘আমি সিপিএমের সঙ্গে চলার পক্ষপাতি নই। এরা ভয়ঙ্কর রাজনৈতিক দল!’

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেছেন, ‘আমি সিপিএমের সঙ্গে চলার পক্ষপাতি নই। এরা ভয়ঙ্কর রাজনৈতিক দল!   তিনি বলেন, ‘২০১১ সালে একটা শ্লোগান দিয়েছিলাম, সেটা আজও প্রযোজ্য। সিপিএমের সঙ্গে চলব না, তাদের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক তৈরি করব না, তারা কোনও বিয়ে বাড়ি গেলে সেখানে যাব নাতাদের সঙ্গে চায়ের দোকানে গল্প করব না।’

আজ (শনিবার) তার ওই মন্তব্যে রাজনৈতিক ভাবে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। রাজ্যের বনমন্ত্রী ও তৃণমূলের সিনিয়র নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিপরীত অবস্থান প্রকাশ করেছেন রাজ্যের নগরোন্নয়ন ও পুরমন্ত্রী মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি আজ  বলেন,  ‘সামাজিক ভাবে বয়কট টয়কট এগুলো সব সিপিএমরা করত। আমরা এগুলোতে বিশ্বাস করি না

ফিরহাদ হাকিম বলেন, সিপিএম বাড়ির কেউ যদি অসুস্থ হয়ে তাহলে কাউন্সিলর হিসেবে বিধায়ক হিসেবে আমার দায়িত্ব হল দৌড়ে তাকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো। যদি সিপিএমের পরিবারে দেখি কারও মৃত্যু হয়েছে তাহলে তার সাথে শ্মশানযাত্রী হিসেবে যাওয়া এটা আমার কাছে মানবিক কর্তব্য। সুতরাং, মানুষ হিসেবে আগে আমার মানবিক কর্তব্য পালন করব। বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। 

এদিকে, মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মন্তব্যকে খারিজ করেছেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী। তার পাল্টা দাবি, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের থেকে এর থেকে ভাল কিছু কথা আর কী আশা করা যায়? এরা অসামাজিক। ওরা শুধু দুর্নীতিপরায়ণই নন, অসামাজিক। তৃণমূল সরকারের উদ্দেশে তার প্রশ্ন, ১১ বছরের দুর্নীতিতে কারও কেশাগ্রও স্পর্শ করতে পারলেন না কেন? ওদের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ তো কোর্টে প্রমাণিত হবে। মিথ্যে মামলা-মোকদ্দমা কম দেননি। ওতে আমরা ভয় পাই না বলেও মন্তব্য করেছেন সিপিএম নেতা মৃণাল চক্রবর্তী।

মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সিপিএমের আমলের দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে আজ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি সমস্ত দফতরের তদন্ত করেন, তবে সিপিএমের নেতাদের যে কী হাল হবে, তারা বুঝতে পারছেন না। শিক্ষা দফতর দিয়ে শুরু হয়েছে। অডিটর জেনারেল বলছে, ৪৬ হাজার নাম বেরিয়েছে। সত্য তো উদ্ঘাটন করা উচিত। এ সব জনসমক্ষে নিয়ে আসা উচিত। মন্ত্রীর এ ধরণের মন্তব্যের পরেই সিপিএম নেতা মৃণাল চক্রবর্তী পাল্টা কটাক্ষ করেছেন।    

 

পার্সটুডে/এমএএইচ/বাবুল আখতার/২৫     

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।