তৃণমূলের অভিযোগ
'পশ্চিমবঙ্গে ‘বিজেপির দুই ভাই, সিপিএম ও কংগ্রেস (আই)’, অধীর-সেলিম ‘বিশ্বাসঘাতক’
পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস, বিরোধী সিপিএম ও কংগ্রেস (আই)কে ‘বিজেপির দুই ভাই’ বলে অভিহিত করেছে।
আজ (শুক্রবার) একইসঙ্গে দলটির পক্ষ থেকে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী এমপি ও সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মুহাম্মদ সেলিমকে ‘বিজেপির দালাল’ ও ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে কটাক্ষ করা হয়েছে।
আজ মুম্বাইতে যখন বিজেপি বিরোধী 'ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স' বা ‘ইন্ডিয়া’ জোটের বৈঠক হচ্ছে, তখন তৃণমূলের পক্ষ থেকে সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী এমপি এবং সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মুহাম্মদ সেলিমকে ‘বিজেপির দালাল’, ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে তীব্র কটাক্ষে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আজ মহারাষ্ট্রের মুম্বাইতে বিজেপি বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের তৃতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। দ্বিতীয় দিনের ওই বৈঠকে তৃণমূলের পাশাপাশি কংগ্রেস, সিপিএম ও অন্য দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এখানে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে বিজেপিকে পরাজিত করতে রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
একইদিনে আজ (শুক্রবার) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং সিপিএম নেতা মুহাম্মদ সেলিম তৃণমূলের সমালোচনা করে বিজেপিকে খুশি করছেন। ওরা বিজেপির দালাল!
এ প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘২০২১ সালে যখন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করেছেন বাংলার মাটিতে তৃণমূল কংগ্রেসকে পরাজিত করার জন্য, তখন অধীর চৌধুরী ও মুহাম্মাদ সেলিম নিজেদের মধ্যে জোট করে লড়েছেন, অ-বিজেপি ভোট ভাগ করে বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু ওরা শূন্য পেয়েছিল! বাংলার মানুষ এই বিশ্বাসঘাতকদের প্রত্যাখ্যান করেছে। এই দুই বিশ্বাসঘাতক বাংলার লজ্জা’ বলেও তীব্র সমালোচনা ও কটাক্ষ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে ধুপগুড়ি বিধানসভা উপ-নির্বাচনে বামফ্রন্ট মনোনীত এবং জাতীয় কংগ্রেস সমর্থিত সিপিআইএম প্রার্থী ঈশ্বর চন্দ্র রায়ের সমর্থনে ধুপগুড়িতে এক নির্বাচনী সমাবেশে সিপিএম নেতা মুহাম্মদ সেলিমের পাশাপাশি কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী কেন্দ্রীয় সরকারে ক্ষমতাসীন বিজেপি এবং রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূলের সমালোচনা করায় বেজায় চটেছে তৃণমূল। তাদের বক্তব্য- এরফলে বিজেপি সুবিধা পাবে, তাদের হাত শক্ত হবে।
রাজনৈতিক মহলে এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী জোটে কংগ্রেস-তৃণমূল-সিপিএম ঐক্যবদ্ধ হলেও রাজ্য স্তরে কী এসব দল পরস্পরকে তীব্র আক্রমণ করে ভিন্ন পথে হাঁটতে চলেছে? এই প্রশ্নই এখন রাজনৈতিক মহলে ঘুরপাক খাচ্ছে।#
পার্সটুডে/এমএএইচ/এমবিএ/১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।