ভারতের সংসদে ৯ বিষয়ে আলোচনার দাবিতে মোদীকে সোনিয়ার চিঠি, পাল্টা জবাব যোশীর
-
সোনিয়া গান্ধি ও নরেন্দ্র মোদী
ভারতে সংসদের আসন্ন ‘বিশেষ অধিবেশন’-এ ৯টি বিষয় নিয়ে আলোচনা করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছেন প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী।
ওই ৯টি বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য সংসদে সময় বরাদ্দ করার আবেদনও জানানো হয়েছে চিঠিতে। আজ (বুধবার) ওই চিঠিতে দেশে ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। ন্যূনতম সহায়ক মূল্যসহ কৃষকদের একাধিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেগুলোর বাস্তব রূপায়ণ না হওয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এর পাশাপাশি, মণিপুরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়া, হরিয়ানার মতো দেশের বেশ কিছু রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হওয়া নিয়েও আলোচনার দাবি তোলা হয়েছে। শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থায় নানা অনিয়ম এবং তা নিয়ে সরকারের ‘নিষ্ক্রিয়তা’ নিয়েও অভিযোগ জানিয়ে সংসদে আলোচনার দাবি জানানো হয়েছে।
আগামী ১৮/২২ সেপ্টেম্বর, পাঁচ দিনের জন্য সংসদের ‘বিশেষ অধিবেশন’ ডেকেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু কেন এই অধিবেশন ডাকা হল, তা নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী সোনিয়া গান্ধীর চিঠির পাল্টা জবাবে আজ বলেছেন, সরকার যে কোনও বিষয়ে আলোচনা করতে সর্বদা প্রস্তুত। আপনি যে সমস্ত বিষয় উল্লেখ করেছেন তা বর্ষাকালীন অধিবেশনে অনাস্থা প্রস্তাবের আলোচনার সময় উত্থাপিত হয়েছিল এবং সরকার তার জবাবও দিয়েছে।
এদিকে, আজ পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেছেন, ‘বিজেপি এবং মোদী সরকার ‘ইন্ডিয়া’কে ভয় পেয়েছে। এবং ইন্ডিয়ার মানুষকে ভয় পেয়েছে। আসলে ওনারা জাতপাতের রাজনীতি, ধর্মের রাজনীতি নিয়ে চলতে চাচ্ছেন। উন্নয়ন, মানুষের কথা, দেশ, দেশের মানুষ এগুলো তাদের বিবেচ্য নয়। শুধু দলকে প্রতিষ্ঠিত করা, ধর্মকে প্রতিষ্ঠিত করা, এসব করে মানুষকে বিভ্রান্ত করে ভোটে জেতাই ওদের উদ্দেশ্য। ’
আজ (বুধবার) পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এমপি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বার্তায় বলেছেন, ‘ভারত বনাম ইন্ডিয়া বিজেপির তৈরি করা একটি বিভ্রান্তি মাত্র। এই অবস্থায় আমাদের উচিত আকাশ ছোঁয়া নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম, ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা, বেকারত্ব, সীমান্ত বিরোধ এবং ডাবল ইঞ্জিন এবং জাতীয়তাবাদের বিষয়ে তাদের অহেতুক মন্তব্যের জন্য সরকারকে নিশানা করা।’
এদিকে, জি–২০ শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির নৈশভোজে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ওই নৈশভোজে যোগ দেবেন দেশের বিরোধী নেতা–নেত্রীরাও। রাষ্ট্রপতির নৈশভোজে যাওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ওই অনুষ্ঠানেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখা হতে পারে বলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।#
পার্সটুডে/এমএএইচ/এমআরএইচ/৬
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।