ভারতীয় সংসদে মহিলা সংরক্ষণ বিল পেশ, তীব্র সমালোচনায় সোচ্চার কংগ্রেস
https://parstoday.ir/bn/news/india-i128294-ভারতীয়_সংসদে_মহিলা_সংরক্ষণ_বিল_পেশ_তীব্র_সমালোচনায়_সোচ্চার_কংগ্রেস
ভারতীয় সংসদের নতুন ভবনের লোকসভায় আজ পেশ করা হল মহিলা সংরক্ষণ বিল পেশ করা হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) বিলটি পেশ করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল।
(last modified 2025-10-27T13:35:51+00:00 )
সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩ ১৯:০৩ Asia/Dhaka
  • ভারতীয় সংসদে মহিলা সংরক্ষণ বিল পেশ, তীব্র সমালোচনায় সোচ্চার কংগ্রেস

ভারতীয় সংসদের নতুন ভবনের লোকসভায় আজ পেশ করা হল মহিলা সংরক্ষণ বিল পেশ করা হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) বিলটি পেশ করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল।

মহিলা সংরক্ষণ বিল প্রসঙ্গে আজ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহিলা সংরক্ষণ বিল আগেও পেশ করা হয়েছে। কিন্তু পাশ করানো হয়নি। ভগবান হয়তো এটা করার (মহিলা সংরক্ষণ বিল) জন্য আমাকে বেছে নিয়েছেন। মা-বোনেদের আশ্বস্ত করছি। এই  বিলকে আইনে পরিণত করার জন্য আমরা সংকল্পবদ্ধ। 

এদিকে, ওই ইস্যুতে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় নরেন্দ্র মোদী সরকারের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের সমালোচনা করে বলা হয়েছে, মহিলা সংরক্ষণের বিষয়ে মোদীজির নীতি ও উদ্দেশ্য দুটোতেই ত্রুটি রয়েছে। মোদী সরকারের মহিলা সংরক্ষণ বিলে স্পষ্ট লেখা আছে যে আদমশুমারি এবং আসন পুনর্বিন্যাসের পরেই মহিলাদের সংরক্ষণ হতে পারে। অর্থাৎ, ২০২৯ সালের আগে মহিলাদের সংরক্ষণ সম্ভব নয়। মোদী সরকার আমাদের দেশের মহিলাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে এবং তাদের আশা ভঙ্গ করেছে বলেও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মন্তব্য করা হয়েছে।  

জানা গেছে, ২০২৭ সালের আদমসুমারি প্রক্রিয়ার পরেই বিল কার্যকরের কথা বিলের প্রস্তাব রয়েছে। সে ক্ষেত্রে বিল ২০২৯ সালের আগে কার্যকরের সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই ধারণা সংবিধান বিশেষজ্ঞদের একাংশের। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ আজ বলেন, ‘এই বিল মোদী সরকারের নির্বাচনী চমক ছাড়া আর কিছু নয়। কারণ, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে আদমসুমারি বা আসন পুনর্বিন্যাস, কোনওটাই হবে না।’

কংগ্রেসের মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনাতে প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করে আজ বলেন, মোদীজি তার জুমলায় এ দেশের মহিলাদেরও রেহাই দেননি। মহিলা সংরক্ষণ বিলে  তাদের অসৎ উদ্দেশ্য পরিষ্কার হয়ে গেছে। বিল অনুসারে, মহিলাদের সংরক্ষণের আগে আদমশুমারি এবং তারপর আসন পুনর্বিন্যাস করা বাধ্যতামূলক, যার অর্থ  ২০২৯ সালের আগে এটি সম্ভব নয়। আপনি যদি সত্যিই মহিলাদের অংশগ্রহণ  নিশ্চিত করতে চান, তাহলে আপনি ২০১০ সালে রাজ্যসভায় পাস হওয়া বিলটি  লোকসভায় নিয়ে আসতেন। অর্ধেক জনসংখ্যার সাথে এই জুমলা (মিথ্যা প্রতিশ্রুতি/ভাঁওতা) ভাল নয়।

মহিলা সংরক্ষণ বিল প্রসঙ্গে কপিল সিব্বল এমপি বলেন, ‘এতে ঐতিহাসিক কী আছে? এটা বলে যে আপনি ২০২৯ সালে মহিলাদের সংরক্ষণ পাবেন। এক্ষেত্রে ডিলিমিটেশন হওয়া প্রয়োজন। এটি (ডিলিমিটেশন) না হলে কী হবে? এটা   নারীদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। তারা মহিলাদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে যে আপনারা ২০২৯ সালে সংরক্ষণ পাবেন। তাদের আজ মহিলা সংরক্ষণের কথা মনে পড়ছে কেন? তাদের চিন্তাধারা রাজনৈতিক। রাজনীতি ছাড়া তারা কিছু ভাবতেই পারে না।  

প্রসঙ্গত, মহিলা সংরক্ষণ বিলে বলা হয়েছে- ২০৪৭ সালের মধ্যে অর্থাৎ স্বাধীনতার শতবর্ষের আগে ভারতকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্য অর্জনের জন্য মহিলাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। সেই লক্ষ্যে ১৫ বছরের জন্য মহিলাদের  জন্য লোকসভা, রাজ্যসভায় আসন সংরক্ষণের ‘সীমাবদ্ধ অনুশীলন’ চালু হচ্ছে। বিল অনুযায়ী, প্রত্যেকটি নিবার্চনে লোকসভা এবং বিধানসভাগুলোর এক তৃতীয়াংশ আসন ‘মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত’করা হবে। তবে তফসিলি-জাতি-উপজাতির মধ্যে স্থায়ী ভাবে মহিলাদের জন্য কোনও লোকসভা-বিধানসভা আসন চিহ্নিত হবে না। বরং পুরসভা এবং পঞ্চায়েত ভোটের ধাঁচেই প্রত্যেক নির্বাচনে পর্যায়ক্রমে এক তৃতীয়াংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হবে। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসসহ কয়েকটি বিরোধী দল ইতোমধ্যেই বিলের ওই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। # 

পার্সটুডে/এমএএইচ/জিএআর/১৯     

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।