বিজেপি-আরএসএস রাম মন্দিরকে একটি রাজনৈতিক প্রকল্পে পরিণত করেছে: জয়রাম রমেশ
ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সিনিয়র নেতারা বহুলালোচিত রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যেতে অস্বীকার করেছেন।
আগামী ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য উত্তর প্রদেশের অযোধ্যার ওই কর্মসূচিতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি সোনিয়া গান্ধী এমপি এবং অধীর রঞ্জন চৌধুরী এমপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারা ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে অস্বীকার করেছেন।
এই বিষয়ে বিবৃতি দিয়ে আজ (বুধবার) কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ উগ্রহিন্দুত্ববাদী আরএসএস এবং বিজেপিকে রাম মন্দিরকে রাজনৈতিক প্রকল্পে পরিণত করার অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, মল্লিকার্জুন খাড়গে, সোনিয়া গান্ধী এবং অধীর রঞ্জন চৌধুরী অভিষেক ওই অনুষ্ঠানের জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন, যা তারা সসম্মানে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
জয়রাম রমেশ আজ এক বিবৃতিতে বলেন, গত মাসে, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, কংগ্রেস সংসদীয় দলের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী এবং লোকসভায় কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। কোটি কোটি ভারতীয় ভগবান রামের পূজা করে। ধর্ম মানুষের ব্যক্তিগত বিষয়, কিন্তু বছরের পর বছর ধরে বিজেপি এবং ‘আরএসএস’ অযোধ্যায় রাম মন্দিরকে একটি রাজনৈতিক প্রকল্পে পরিণত করেছে। তিনি আরও বলেন, ‘এটা স্পষ্ট যে অর্ধনির্মিত মন্দিরের উদ্বোধন করা হচ্ছে শুধুমাত্র নির্বাচনী সুবিধা পাওয়ার জন্য।’
প্রসঙ্গত, কংগ্রেস রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শামিল হবে কী না তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক জল্পনা চলছিল। অবশেষে আজ দলটির পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল তারা এ সংক্রান্ত আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় কয়েকশো বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ প্রকাশ্য দিবালোকে বেঙ্গে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ‘করসেবক’ নামধারী উগ্রহিন্দুত্ববাদী জনতা। তাদের দাবি- ওই স্থানটি ভগবান রামের জনস্থান। ওই ইস্যুতে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে আদালতের রায়ে সেখানে তৈরি হয়েছে রাম মন্দির। আগামী ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত দিয়ে এর সূচনা হবে। #
পার্সটুডে/এমএএইচ/এমআরএইচ/১০
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।