ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় আস্থা ভোটে জয়ী চম্পাই সোরেন সরকার, বিরোধীদের প্রতিক্রিয়া
ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে সফল হয়েছেন ‘জেএমএম’ মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন।
৮১ আসন বিশিষ্ট ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় সরকার গড়তে ৪১ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন। সেখানে আজ চম্পাইয়ের সমর্থনে ভোট দিয়েছেন ৪৭ জন বিধায়ক। বিপক্ষে পড়ে ২৯ টি ভোট। এছাড়া কয়েকজন বিধায়ক অনুপস্থিত ছিলেন।
সম্প্রতি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ‘ইডি’র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন ঝাড়খণ্ডের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেন। মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। জমি জালিয়াতি মামলায় নাম জড়িয়েছে জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেনের। ৬০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এরপর জেএমএম দল থেকে নেতা নির্বাচিত হন চম্পাই সোরেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি সম্প্রতি শপথ নিয়েছেন। তাকে আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হয়। আজ (সোমবার) তিনি সফলভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে সমর্থ হয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে আজ পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় বলেন, এটা স্পষ্ট যে রাজ্যপাল ভবনকে বিজেপি তার কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করে। যাতে ঘোড়া কেনাবেচা করা যায়। তবুও আমরা আশাবাদী ছিলাম। এটা গণতন্ত্রের জয়। বিজেপি যতই ষড়যন্ত্র করুক গণতন্ত্র শেষ কথা বলবে।
তৃণমূলের সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে গেলে বিজেপিকে সরাতেই হবে। গণতন্ত্রের পরীক্ষা দেওয়ার সময় এসে গেছে মোদী সরকার এবং বিজেপি-আরএসের নানাবিধ কার্যকলাপের জন্য।
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারকে টার্গেট করে বলেছেন, ইডির মতো এজেন্সি ব্যবহার করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ফ্যাসিবাদী প্রচেষ্টার পূর্ণ শক্তির বিরোধিতা করা হবে। তারা (বিজেপি) ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী, পিছিয়ে পড়া মানুষ এবং দরিদ্রদের সরকারকে আক্রমণ করেছে এবং লোকসভা নির্বাচনে তাদের ক্রোধের মুখোমুখি হতে হবে!
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত ছিল, হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারির সুযোগে বিহারের মতো ঝাড়খণ্ডেও সরকার ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বিজেপির। হেমন্তের ইস্তফার পর চম্পাইকে সরকার গঠনে আমন্ত্রণ জানাতে রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণের গড়িমসিতে সেই জল্পনা জোরালো হয়। অবশেষে এক সময় চম্পাইকে সরকার গঠনে আমন্ত্রণ জানান রাজ্যপাল কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে সময় দেওয়া হয় ১০ দিন। সেই সময়সীমার মধ্যেই আজ আস্থা ভোট নির্ধারিত হয় ঝাড়খণ্ড বিধানসভায়।
আদালতের অনুমতি নিয়ে চম্পাইয়ের সমর্থনে ভোট দিতে বিধানসভায় আসেন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও। হেফাজতে থাকাকালীনই বিধানসভায় বক্তব্য রাখেন হেমন্ত। তার গ্রেফতারিকে গণতন্ত্রের কালো অধ্যায় হিসেবে আখ্যা দেন তিনি। এর পাশাপাশি গ্রেফতারের পিছনে রাজ্যপালের জড়িত থাকারও অভিযোগ করেন হেমন্ত সোরেন। #
পার্সটুডে/এমএএইচ/এমআরএইচ/৫
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।