পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফার দাবি জানালো বিজেপি, পাল্টা জবাব তৃণমূলের
-
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এবং রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফা দাবি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিজেপি মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া। এর পাল্টা জবাবে বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এবং রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা।
পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালিতে তৃণমূল আশ্রিত দুর্বৃত্তরা হিন্দু নারীদের বিরুদ্ধে অত্যাচার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতা-মন্ত্রীরা। ওই ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গলের রাজত্ব চলছে অভিযোগ করে বিজেপি মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া আজ বলেন, লজ্জা থাকলে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার কোনো অধিকার নেই তার। বিজেপি মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়ার অভিযোগ- তৃণমূলের গুন্ডারা নারীদের বন্দুকের সাহায্যে ভয় দেখায়। বিশেষ করে হিন্দু নারীদের নিপীড়ন করে তাদের শোষণ করা হয়। ধর্ষণ করা হয়। পশ্চিমবঙ্গে ধর্ষদের দ্বারা, ধর্ষকদের জন্য একটা সরকার চলছে। পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান সরকার ধর্ষকদের আড়াল করছে, পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
ওই ইস্যুতে আজ রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ও রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিজেপি মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়ার সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কুণাল ঘোষ বলেন, সন্দেশখালিকে কেন্দ্র করে দিল্লিতে বসে কুৎসা করছেন, মিথ্যাচার চলছে। তিনি বলেন, বিজেপিশাসিত উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় সবচেয়ে বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধে বিজেপিশাসিত উত্তর প্রদেশ ও মহারাষ্ট্র এগিয়ে রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন কুণাল ঘোষ।
কুণাল ঘোষ বলেন, সন্দেশখালি প্রসঙ্গে জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা পর্যন্ত বলেছেন, ধর্ষণের অভিযোগ, বাড়ি থেকে তুলে আনার অভিযোগ, রাতে ডেকে পাঠানোর অভিযোগ, যে কুৎসিততম অভিযোগগুলো এনে ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা হচ্ছে, সেরকম কোনও অভিযোগ তারা পাননি।
অন্যদিকে, রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা পুলওয়ামার ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামার ৫ম বছর, ৪০ জন শহীদ হয়েছিলেন, সেই ঘটনায় কেউ কী ইস্তফা দিয়েছেন? প্রধানমন্ত্রী ইস্তফা দিয়েছিলেন কী? প্রশ্ন দেশের মানুষ এখনও করে। কার গাফিলতিতে ওই ঘটনা ঘটেছিল? অনেককে তো ইস্তফা দিতে হয়। কেন্দ্রীয় সরকার স্বৈরতন্ত্র চালাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় আধাসামরিক বাহিনী সিআরপিএফের ৪০ জওয়ান নিহত হয়েছিলেন। রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা আজ সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় সরকারকে টার্গেট করেছেন।
উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় সম্প্রতি বিএসএফের খনন করা ড্রেনের মধ্যে মাটি চাঁপা পড়ে ৪ শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন কেন ওই বিষয়ে বিএসএফকে তলব করা হবে না? কেন বিএসএফের কাছে জবাব চাওয়া হবে না? কেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই বিষয়ে চুপ করে আছেন? কেন তিনি ইস্তফা দেবেন না? যারা বিদ্বেষমূলক বিবৃতি দিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণেরও দাবি জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। #
পার্সটুডে/এমএএইচ/১৪
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।