ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪ ১৮:১৭ Asia/Dhaka
  • অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এমপি
    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এমপি

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ৫ বছরে বাংলা থেকে ৪ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেলেও বাংলার প্রাপ্য ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এমপি।

 তিনি আজ (রোববার) বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওই মন্তব্য করেন। অভিষেক বলেন, "গত ৫ বছরে নরেন্দ্র মোদীর 'জনবিরোধী' বিজেপি সরকার বাংলা থেকে ৪ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়ে গেছে। তাদের আচমকা মনে হল আধার কার্ড বাতিল। যারা নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলছে, তারা আজকে আধার কার্ড বাতিল করছে, তারা নাগরিকত্ব বাতিল করে দেবে। বিজেপির এক বিধায়ক বলছেন, ভাগ্য ভালো যে আধার কার্ড সক্রিয় হয়েছে, নইলে কিচ্ছু পেতে না, কিচ্ছু করতে পারতে না! এটা দম্ভ, অহংকার এবং দুঃসাহস! যখন ইচ্ছা টাকা বন্ধ করে দেবে? এটা কী কারও পৈতৃক সম্পত্তি না কি? মামা বাড়ির আবদার? সেজন্য আগামী নির্বাচন বাংলার স্বার্থে লড়তে হবে।"

বিজেপি নেতাদের টার্গেট করে তাদেরকে বহিরাগত, বাংলা বিরোধী, অত্যাচারী, স্বৈরাচারী, ষড়যন্ত্রকারী, জনবিরোধী, জমিদার, বসন্তের কোকিল ইত্যাদি বলে কটাক্ষ করেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এমপি।

অন্যদিকে আজ তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বিজেপিকে টার্গেট করে বলেছেন, বাংলা বিজেপির কাছে গলার কাঁটা। কেন্দ্রীয় সরকার জনবিরোধী কাজকর্ম করছে। বিজেপি নেতারা বাংলাকে বারবার বিরক্ত করতে আসছেন।

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলায় তিনটি কর্মসূচি নিয়েছেন। ১ মার্চ আরামবাগে সভা করবেন তিনি। ২ মার্চ সভা হবে কৃষ্ণনগরে। ৮ মার্চ সভা করবেন বারাসতে। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে মোদী-শাহ ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করলেও কোন লাভ হবে না।

তিনি বলেন, ২০২১ সালে আমরা দেখেছি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজী, বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাজী, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথজী সারা ভারতবর্ষে যত ‘জী’ ছিল বিজেপির, ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করিয়েছে। কিন্তু বিজেপি হেরেছে। বাংলা তাদের গলার কাঁটা। তাই তারা বাংলাকে ডিস্টার্ব করতে বারবার আসছে। বাংলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-ইডি পাঠানো, বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো, বাংলার পাওনা টাকা বন্ধ করে দেওয়া। নরেন্দ্রী মোদী, অমিত শাহ ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করতে চাইলে করবেন। তারা মানুষের সঙ্গে আছেন, এবং মানুষ তাদের সঙ্গে আছে বলে মন্তব্য করেন কুণাল ঘোষ।

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না হলেও তার আগেই রাজ্যে ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর খবর প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, বিজেপির লেঠেল বাহিনী হল কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাদের দল নেই, সংগঠন নেই, বুথ কমিটি নেই, মণ্ডল কমিটি নেই। তাই কখনও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই কখনও ‘ইডি’। কখনও কেন্দ্রীয় নানা কমিশন, কখনও কেন্দ্রীয় বাহিনী এগুলো দিয়েই তো বিজেপি চলে। তাই এসব পাঠাচ্ছে। ২০২১ সালে আমরা দেখেছিলাম ৮ দফায় নির্বাচন, কেন্দ্রীয় বাহিনী তাতে কী হয়েছে?’

অন্যদিকে, সিপিএম-বিজেপি বোঝাপড়ার ফলেই রাজ্যে বিজেপি বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, বিজেপি আর সিপিএম সমার্থক। এ রাজ্যে সিপিএম কমেছে এবং বিজেপি বেড়েছে। সিপিএমের ভোটের হার, সিপিএমের আসন কমেছে। সেই অনুপাতে বিজেপি বেড়েছে। তৃণমূলের আসন ও ভোটের হার কমেনি। সিপিএমের ভোট, সিপিএমের সমর্থন এবং সিপিএমের সঙ্গে বোঝাপড়ার উপর বিজেপি দাঁড়িয়ে আছে। বিজেপির লক্ষ্য তৃণমূলের ক্ষতি করা, সিপিএমের লক্ষ্য হচ্ছে তৃণমূলের ক্ষতি করা। ফলে সাধারণ স্বার্থ থেকে এরা হাতে হাত মিলিয়ে রাজনীতি করছে বলেও মন্তব্য করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।      

পার্সটুডে/এমএএইচ/এমএআর/২৫  

 

ট্যাগ