গুজরাটে পরীক্ষার সময়ে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব খোলার ঘটনায় বিতর্ক
ভারতে বিজেপিশাসিত গুজরাটে পরীক্ষার সময় হিজাব খোলা নিয়ে বিতর্কের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে।
গতকাল (বুধবার) ঘটনাটি ঘটেছে ভারুচ লায়ন্স স্কুল অঙ্কলেশ্বরে। এখানে বোর্ডের অধীনে দশম শ্রেণির পরীক্ষার সময় এক স্কুল শিক্ষক মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব খুলে ফেলতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ। এরপর ওই শিক্ষককে সাসপেন্ড করার দাবি উঠেছে। পুরো ঘটনাটি সেখানকার সিসিটিভি ক্যামেরায় রেকর্ড হয়ে গেছে। ওই ইস্যুতে হট্টগোলের পর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জেলা শিক্ষা দফতর।
ভারুচের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিইও) এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ভারুচ জেলার ডিইও স্বাতি রাউলজি বলেন, বোর্ডের নির্দেশিকা অনুসারে বোর্ড পরীক্ষায় পোশাকে কোন বিধিনিষেধ ছিল না। বৃহস্পতিবার, মুসলিম সম্প্রদায়ের পাশাপাশি কিছু ছাত্রের অভিভাবকরা প্রতিবাদ দেখাতে স্কুলে জড়ো হন এবং ঘটনার বিষয়ে ভারুচের ডিইও-কে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন।
ছাত্রীদের হিজাব খোলার বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাসপেন্ডের দাবি করা এক অভিযোগকারী বলেন, পরীক্ষা শুরুর পাঁচ মিনিট আগে উনি পরীক্ষার হলে পৌঁছান এবং ছাত্রীদের মাথায় থাকা স্কার্ফ বা হিজাব খুলে ফেলতে বাধ্য করেন। কিছু ছাত্রী বলেন, এতে তাদের পরীক্ষা খারাপ হয়েছে। অভিযোগকারী বলেন, ওই শিক্ষক বলেছেন, তিনি শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তার কাছ থেকে স্কার্ফ বা হিজাব খুলে ফেলার নির্দেশ পেয়েছেন। তিনি বলেন, এটা সত্য হলে আমরা বোর্ডের কাছে অভিযোগ করব। থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ করা হয়েছে। প্রয়োজনে আমরা এফআইআরও করব। ওই শিক্ষক নিজে থেকে এ কাজ করে থাকলে আমরা তাকে সাসপেন্ড করার দাবি জানাচ্ছি। আমরা মনে করি, বোর্ড পরীক্ষার সময় এ ধরনের ঘটনা ঘটানো উচিত নয়।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে, বিজেপিশাসিত কর্ণাটকের উডুপিতে ৬ মুসলিম ছাত্রীকে হিজাব পরার কারণে কলেজের ক্লাস রুমে বসতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। এর পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুসলিম শিক্ষার্থীদের হিজাব পরার অনুমতি নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়। #
পার্সটুডে/ এমএএইচ/ এমবিএ/১৪
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন