পশ্চিমবঙ্গে বন্যায় ১৫২ জনের মৃত্যু, ক্ষতিগ্রস্ত দেড় কোটি মানুষ: মমতা
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রতিক বন্যায় ১৫২ জনের মৃত্যু ও দেড় কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন। তিনি আজ (সোমবার) মালদা জেলার বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনের পর ওই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘কয়েকমাস আগেই বিহারে নদীবাঁধ ভেঙে দেয়া হয়। নদীগুলোর ড্রেজিংও বন্ধ হয়ে রয়েছে। এরফলেই উত্তরবঙ্গ বন্যা পরিস্থিতির মুখে পড়েছে। জলাধারগুলোর ড্রেজিং করা হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় সরকারের বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত। বন্যায় দেড় কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।’
কেন্দ্রীয় সরকারকে উদ্দেশ করে মমতা বলেন, ‘অসম ও গুজরাটের চেয়ে পশ্চিমবঙ্গে কম বন্যা হয়নি। অন্যরা যেমন সাহায্য পাচ্ছে, বাংলারও সেই সাহায্য পাওয়া উচিত। কেন্দ্রীয় সরকারকে এ ব্যাপারে ন্যায্য দাবি জানাবে রাজ্য সরকার।’
তিনি বলেন, ‘রাজ্য সরকার ত্রাণ দিতে অবহেলা করে না। টাকার জন্য ত্রাণ বিলি করা বন্ধ হবে না। কেন্দ্রীয় সরকার অসম, গুজরাটকে ২ হাজার কোটি টাকা করে প্যাকেজ দিয়েছে, আমি চাই সব রাজ্যই তা পাক।’
মমতা বলেন, ‘গরমকালে পানি পাওয়া যায় না, আর বর্ষাকালে বাঁধ ভেঙে দিয়ে ডুবিয়ে দেয়া হয়। আমি বাঁধ কেটে অন্য কাউকে ডুবিয়ে দেয়ার পক্ষে নই। তেমনই অন্যদেরও খেয়াল রাখতে হবে তাদের সবার একটা সীমানা আছে। আমরা সকলের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রক্ষা করে চলি। সবাই ভালো থাকুক। সকলেরই কর্তব্য মানুষের পাশে থাকা।’
সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতিতে ১৪ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে এবং মোট ১১টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মমতা বলেন।
মমতা আজ বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে একাধিক ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করেন। বন্যার পানিতে নেমেই তিনি বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলে তাদের খোঁজখবর নেন।
মমতা তাদের অভয় দিয়ে বলেন, ‘ভয় পাবেন না। রাজ্য সরকার আপনাদের পাশে আছে। বৃষ্টির পানির জন্য এই বন্যা হয়নি। ডিভিসি’র ছাড়া পানির জন্য বন্যা হয়েছে।’ বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর পুনর্বাসনের কাজ শুরু হবে বলেও মমতা জানান।#
পার্সটুডে/এমএএইচ/এআর/২১