ভাষা রক্ষার দাবিতে ভারতের ৩ রাজ্যে রেল অবরোধ, বহু ট্রেন বাতিল
(last modified Mon, 24 Sep 2018 10:04:15 GMT )
সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৮ ১৬:০৪ Asia/Dhaka
  • রেল লাইন অবরোধ
    রেল লাইন অবরোধ

আদিবাসী সংগঠনের ডাকা ১২ ঘণ্টার রেল অবরোধ কর্মসূচির ফলে পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড ও উড়িষ্যাতে প্রভাব পড়েছে। আজ (সোমবার) ‘ভারত জাকা মাঝি পরগনা মহাল’ নামে একটি আদিবাসী সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা এবং ঝাড়খণ্ডে রেল অবরোধ কর্মসূচির ডাক দিলে রেল চলাচল ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হয়।

সাঁওতালি ভাষাকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত স্বীকৃতি দেয়াসহ অলচিকি হরফের বই এবং সাঁওতালি ভাষার শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে আদিবাসীরা আন্দোলনে নেমেছেন।

দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জনসংযোগ কর্মকর্তা বিধান চন্দ্র বলেন, আদিবাসীদের ডাকা রেল অবরোধের ফলে শালিমার-ভুজুডি আরণ্যক এক্সপ্রেস, খড়গপুর-হাতিয়া প্যাসেঞ্জার, খড়গপুর-টাটানগর প্যাসেঞ্জার, খড়গপুর-ঝাড়গ্রাম প্যাসেঞ্জার স্পেশাল, সাঁতরাগাছি-ঝাড়গ্রাম প্যাসেঞ্জার, খড়গপুর-ভদ্রক প্যাসেঞ্জার ও আদ্রা-শালিমার রাজ্যরানি এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে।

সোমবার সকাল ৬টা থেকে ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়ায় বিভিন্ন জায়গায় রেল অবরোধ করেন আদিবাসী সংগঠনের সদস্যরা। হাওড়া, বালিচক, খেমাশুলি, বাঁকুড়ার ছাতনা, পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে রেল অবরোধ হলে বহু লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়।

আজ রেল অবরোধের পাশাপাশি বিক্ষোভকারীরা সড়ক অবরোধ করার ফলে বাঁকুড়ার ফুলকুশমা, পড়াডিহিতে  যান চলাচল ব্যাহত হয়। এছাড়া সড়ক অবরোধের ফলে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণার ক্ষীরপাই, বালুরঘাটের হিলির ত্রিমোহিনী, মালদা-বালুরঘাট, হিলি-বালুরঘাট যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

ড.  ইমানুল হক

এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের ‘ভাষা ও চেতনা সমিতি’র সম্পাদক ও কোলকাতার প্রেসিডেন্সী কলেজের সাবেক অধ্যাপক ড.  ইমানুল হক আজ রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘আদিবাসীরা অলচিকিতে পড়াশোনা করা ও পরীক্ষা দেয়ার যে দাবি তারা করেছেন তা ন্যায্য দাবি। আদিবাসীরা হলেন ভারতের আদি বাসিন্দা। তাদের নিজস্ব ভাষা ও সাংস্কৃতিক অধিকার অত্যন্ত ন্যায্য দাবি। আশাকরি সরকার এই বিষয়ে সদর্থক দৃষ্টিভঙ্গি নেবে এবং আগামীতে যাতে তারা ন্যায় বিচার পান সরকার সেজন্য  যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।’#

পার্সটুডে/এমএএইচ/এআর/২৪

ট্যাগ