কাশ্মির সম্পর্কে ট্রাম্পের দাবি সত্য হলে মোদি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন: রাহুল
ভারতের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, কাশ্মির সম্পর্কে যদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দাবি সত্য হয় তাহলে প্রধানমন্ত্রী মোদি দেশের স্বার্থের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।
আজ (মঙ্গলবার) রাহুল গান্ধী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁকে বলেছিলেন কাশ্মিরের ব্যাপারে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যস্থতা করতে। যদি তা সত্যি হয়, তাহলে মোদি দেশের স্বার্থ এবং ১৯৭২ শিমলা চুক্তির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি দুর্বল প্রত্যাখ্যান কেবল নয়। প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই দেশকে বলতে হবে কী কথা হয়েছিল তাঁর ও ট্রাম্পের মধ্যে।’
কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সূর্যেওয়ালা বলেন, মোদি দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন।
গতকাল (সোমবার) হোয়াইট হাউসে ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। এসময় তিনি কাশ্মির নিয়ে মধ্যস্থতা করার কথা বলেন। পাক প্রধানমন্ত্রীর কাছে ট্র্যাম্পের দাবি, ‘জাপানের ওসাকায় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে মোদির সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল। তিনি জানতে চান, আমি মধ্যস্থতা করতে রাজি কি না। আমি প্রশ্ন করি, কোন বিষয়ে? তিনি বলেন, কাশ্মির। কারণ, বিবাদটা অনেক দিন ধরে চলছে। আমি তাঁকে জানাই, মধ্যস্থতা করতে পারলে আমি খুশিই হব।’ ট্র্যাম্পের এ কথা শুনে ইমরান খান বলেন, ‘এটা হলে ১০০ কোটি মানুষের শুভেচ্ছা আপনার সঙ্গে থাকবে।’
এরপরেই এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র বিতর্ক ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বিজেপির মধ্যে অস্বস্তি সৃষ্টি হয়। বিরোধীরাও ওই ইস্যুতে সরকারকে চেপে ধরেছে। আজ (মঙ্গলবার) ট্র্যাম্পের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সংসদের উভয়কক্ষে বিরোধী সদস্যরা সোচ্চার হলে কার্যত উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদ ভবন। বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিবৃতির দাবি করেন। অবশেষে ট্রাম্পের দাবি খারিজ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর রাজ্যসভায় তাঁর সাফাইতে বলেন, ‘ভারতের পক্ষ থেকে ট্রাম্পকে এমন কোনও প্রস্তাবই দেওয়া হয়নি।’ যদিও এদিন সরকার পক্ষের সাফাইতে সন্তুষ্ট না হয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে তুমুল হট্টগোলের মধ্যে বিরোধীরা সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেন।
এ নিয়ে বিতর্ক জোরালো হওয়ায় আজ মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র সাফাইতে বলেন, ‘কাশ্মির বারবরই ‘ভারত ও পাকিস্তান’ এই দুই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তা নিয়ে দু’দেশ আলোচনা শুরু করলে স্বাগত জানাবে ট্রাম্প সরকার। এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাহায্যও করবে।’ একইসঙ্গে, ইসলামাবাদকে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার পরামর্শও দিয়েছে ওয়াশিংটন।#
পার্সটুডে/এমএএইচ/এআর/২৩