উত্তর প্রদেশে ‘সিএএ-এনআরসি’ বিরোধী মুসলিম নারীদের ওপরে পুলিশের লাঠিচার্জ
(last modified Wed, 05 Feb 2020 19:26:55 GMT )
ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২০ ০১:২৬ Asia/Dhaka
  • উত্তর প্রদেশে ‘সিএএ-এনআরসি’ বিরোধী মুসলিম নারীদের ওপরে পুলিশের লাঠিচার্জ

ভারতের উত্তর প্রদেশের আজমগড়ের জওহর পার্কে পুলিশ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জি’র (এনআরসি) বিরোধী নারীদের ধর্না-অবস্থানে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। পুলিশ আজ ভোরে পার্কটি খালি করে ট্যাঙ্কার দিয়ে পানি ভরে দেয়। 

জওহর পার্কে গতকাল (মঙ্গলবার) সকাল ১১ টার দিকে কিছু প্রতিবাদী নারী ‘সিএএ এবং এনআরসি’র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে ধর্না-অবস্থানে জড়ো হয়েছিলেন। রাত পর্যন্ত তাঁদের সংখ্যা ছিল কমপক্ষে আড়াইশো। কিন্তু মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২ টার  দিকে জেলা প্রশাসক এবং জেলা পুলিশ সুপার সেখানে পৌঁছে নারীদের প্রতিবাদ শেষ করার জন্য বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রতিবাদী নারীরা সেখান থেকে চলে যেতে অস্বীকার করেন।

এরপরে পুলিশ ও প্রতিবাদী নারীদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। পরবর্তীতে পুলিশ ওই বিক্ষোভকারী নারীদের ওপরে লাঠিচার্জ করে। পুলিশের দাবি, ওই নারীরা প্রথমে তাদের উপরে পাথর নিক্ষেপ করেছিল। কিন্তু প্রতিবাদী নারীদের অভিযোগ, ঘটনাস্থল থেকে বিতাড়িত করতে পুলিশ তাদের ওপরে লাঠিচার্জ ও পাথর নিক্ষেপ করেছে। পুলিশের লাঠিচার্জে বেশ কিছু মহিলার আহত হওয়ারও খবর পাওয়া গেছে। এর পাশাপাশি পুলিশ কমপক্ষে দেড় ডজন যুবককে আটক করেছে। পুলিশের দাবি, ওই যুবকরাই নারীদের প্রতিবাদ করতে উসকানি দিয়েছিল।  

অন্যদিকে, গণমাধ্যমে এক ভিডিও চিত্রে প্রকাশ ইয়াসমিন খান নামে প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে প্রতিবাদ অবস্থানে বসেছিলাম। সমস্ত নারীরা দোয়া পড়ছিলেন, নামাজ পড়ছিলেন। এসময় পুলিশের লোকজন চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে ধর্না শেষ করার জন্য বাধ্য করে। প্রথমে যুবকদের ধরপাকড় করে মারধর শুরু করে। আমাদের ওপরে তাঁরা ইট নিক্ষেপ করলে এক নারীর মাথা ফেটে যায় এবং বেশ কিছু নারী আহত হয়েছেন। একজনের অবস্থা গুরুতর। এরপরে আমাদের খুব কাছে এসে লাঠিপেটা শুরু করে, এরফলে কয়েকজন নারী আহত হন। তাঁরা ভয় দেখিয়ে ধমক দিয়ে জানায় আমরা যেন ওখান থেকে উঠে যাই। এসময় তাঁরা খারাপ ভাষায় গালি দিয়েছে। পুলিশরাই ওই আচরণ করে সেখানকার পরিবেশ সম্পূর্ণ খারাপ করে দেয়। কিন্তু যেসব নারীরা ধর্না-অবস্থানে বসেছিলেন, তাঁরা খুব শান্তিপূর্ণভাবে ছিলেন। তাঁদের একটাই দাবি ছিল সিএএ-এনআরসিকে বাতিল করতে হবে। কোনোভাবেই যেন তা কার্যকর না হয়।’

হাফিজ দানিশ ফালাহি নামে অন্য এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, নারীরা শান্তিপূর্ণভাবে ধর্না-অবস্থানে বসেছিলেন। কিন্তু রাত ২/৩টা নাগাদ যখন পুরুষ ও নারীদের সংখ্যা কম হয়ে যায় পুলিশ তাঁদের ওপরে হামলা চালায় এবং এক নারীর মাথায় আঘাত লাগলে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়েছে। পুলিশ পার্কে পানি ভর্তি করে দেয় বলেও তিনি জানান।#        

পার্সটুডে/এমএএইচ/এআর/৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ