উত্তর প্রদেশ বিধানসভায় ‘সিএএ’-‘এনআরসি’ বিরোধী তুমুল বিক্ষোভ
ভারতের বিজেপিশাসিত উত্তর প্রদেশ বিধানসভায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (‘সিএএ’), জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (‘এনআরসি’) ও অন্য ইস্যুতে বিরোধী সদস্যরা তুমুল বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন।
আজ (বৃহস্পতিবার) রাজ্যের বিরোধীদল সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি ও কংগ্রেস বিধায়করা ‘সিএএ’, ‘এনআরসি’ ও আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে স্লোগান দিয়ে রাজ্যপাল আনন্দিবেন প্যাটেলের বক্তব্যে বাধা দেন। তাঁরা এসময় বিভিন্ন দাবি সম্বলিত পোস্টার প্রদর্শন করেন।
আজ রাজ্যপালের ভাষণের মধ্যদিয়ে বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের সূচনা হয়েছে। কিন্তু অধিবেশনের শুরুতেই সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি ও কংগ্রেস বিধায়করা বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের সমালোচনায় সোচ্চার হয়ে হৈচৈ ও গোলযোগ শুরু করেন। সমাজবাদী পার্টির বিধায়করা এসময় ‘রাজ্যপাল ফিরে যান’ স্লোগান দেন। রাজ্যপাল অবশ্য তীব্র গোলযোগের মধ্যেই তাঁর বক্তব্য পেশ করেন।
আজ বিধানসভার বাইরে সমাজবাদী পার্টির সদস্যরা হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে ‘সিএএ’, ‘এনপিআর’ ও ‘এনআরসি’র বিরোধিতা করেছন। প্ল্যাকার্ডগুলোতে লেখা ছিল, 'আজমগড়, বিলরিয়াগঞ্জের লোকেদের সুবিচার দিন', 'পুলিশি হয়রানি বন্ধ করুন', 'ভুয়ো মামলা প্রত্যাহার করুন'- ইত্যাদি।
উত্তর প্রদেশের কংগ্রেস প্রধান অজয় কুমার লাল্লু রাজ্যের ক্ষমতাসীন যোগী আদিত্যনাথ সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘উত্তর প্রদেশ সরকার রাজ্যের জনগণের জন্য চিন্তিত নন। এই সরকার স্বৈরশাসকের মতো কাজ করছে এবং সাধারণ মানুষের সমস্যার সাথে এর কোনও যোগসূত্র নেই।’ তিনি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছেন।
বিধানসভায় সমাজবাদী পার্টির দলনেতা রাম গোবিন্দ চৌধুরী বলেছেন, রাজ্যপালের অভিভাষণ আসলে একগুচ্ছ মিথ্যাচার। রাজ্যে প্রতিদিন নারী নির্যাতন করা হচ্ছে, আইন শৃঙ্খলা স্থবির হয়ে পড়েছে। ‘সিএএ’ হল দেশবিরোধী। এর বিরুদ্ধে নারীরা শান্তিপূর্ণভাবে ধর্না-অবস্থান করছেন। কিন্তু সরকার তাদের ওপরে অত্যাচার করছে। রাজ্যপাল একজন নারী কিন্তু তিনি নারীদের কথা শোনেন না। রাজ্যে নারীদের উপরে লাঠিচার্জ করা হচ্ছে।’ এই সরকারকে বরখাস্ত করা উচিত বলেও সমাজবাদী পার্টির নেতা রামগোবিন্দ চৌধুরী মন্তব্য করেন।#
পার্সটুডে/এমএএইচ/এআর/১৩
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।