শাহীনবাগের আন্দোলনকারীদের অন্যত্র পাঠাতে মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ সুপ্রিম কোর্টের
(last modified Mon, 17 Feb 2020 12:34:17 GMT )
ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০ ১৮:৩৪ Asia/Dhaka
  • শাহীনবাগে দুই মাস ধরে ধর্না-অবস্থান পালন করছেন মুসলিম নারীরা
    শাহীনবাগে দুই মাস ধরে ধর্না-অবস্থান পালন করছেন মুসলিম নারীরা

ভারতের বহুলালোচিত বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ‘সিএএ’-এর বিরুদ্ধে দিল্লির শাহীনবাগে যে আন্দোলন চলছে সেখান থেকে আন্দোলনকারীদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

আজ (সোমবার) ওই ইস্যুত এক শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের দুই সিনিয়র আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে ও সাধনা রামচন্দ্রনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দুই আইনজীবী আন্দোলনকারী এবং পুলিশের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে আন্দোলনের জন্য বিকল্প কোনও জায়গা ঠিক করে দেবেন। ওই প্রক্রিয়ায় দুই আইনজীবীকে সাহায্য করবেন কেন্দ্রীয় সরকারের সাবেক তথ্য কমিশনার ওয়াজাহাত হাবিবুল্লাহ।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ), জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) ও জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন (এনপিআর)-এর বিরুদ্ধে দু’মাসের ও বেশি সময় ধরে মুসলিম নারীরা ধর্না-অবস্থান পালন করছেন। সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষজন তাঁদের ওই আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু এভাবে দীর্ঘদিন ধরে সড়ক আটকে প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলায় ট্রাফিক সমস্যার জন্য এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়। আগামী (সোমবার) ওই ইস্যুতে পরবর্তী শুনানি হবে।

ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

আজ শীর্ষ আদালত জানায় শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে বলেছে, ‘আপনাদের বিক্ষোভ করার অধিকার আছে। কিন্তু, রাস্তা বন্ধ করবেন না। এতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। আপনাদের থেকে অন্যরাও শেখে। আজ আপনারা বিক্ষোভ করছেন, আগামীতে অন্যরাও করবে।’

আদালত জানায়, ‘পাঁচ হাজারটা বিক্ষোভ হলেও আমাদের কোনও আপত্তি নেই। আমরা শুধু চাই, রাস্তা বন্ধ না থাকুক। রাস্তা বন্ধের ব্যাপারটাই আমাদের চিন্তা বাড়াচ্ছে। তবে, বিক্ষোভ দেখানোর অধিকার সবার আছে।’

এরআগে কেন্দ্রীয় সরকার ও পুলিশ প্রশাসন শাহীনবাগের ওই আন্দোলন তুলতে চেষ্টা করেছে। বিজেপি’র বিভিন্ন নেতা ওই আন্দোলনের তীব্র সমালোচনা ও কটাক্ষ করেছেন। তবুও আন্দোলনকারীদের মনোবলে ফাটল ধরানো যায়নি। অধিকন্তু শাহীনবাগের আদলে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে প্রতিবাদ-আন্দোলনের ফলে বহু জায়গা কার্যত শাহীনবাগে পরিণত হয়েছে। এবার সুপ্রিম কোর্টও ওই আন্দোলনের রাশ টানতে রাজি হল না। বরং মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করে আন্দোলনের স্থান পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু করল সর্বোচ্চ আদালত। এরফলে ওই আন্দোলন আপাতত থামছে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। #

পার্সটুডে/এমএএইচ/এআর/১৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ