সিএএ'র মতো ‘কালো আইন’ জোর করে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে: বিধায়ক আরিফ মাসুদ
ভারতের মধ্য প্রদেশের কংগ্রেস বিধায়ক আরিফ মাসুদ বলেছেন, ‘সিএএ’-এর ‘কালো আইন’ দেশবাসীর ওপরে জোর করে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। যতক্ষণ এটিকে প্রত্যাহার না করা হবে আমাদের প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে।’ তিনি আজ (বৃহস্পতিবার) ওই মন্তব্য করেন।
আজ থেকে তিনি ‘সংবিধান রক্ষা করব, নথি দেখাব না’ কর্মসূচি শুরু করেছেন। তিনি বলেন, আমরা বাবাসাহেব আম্বেদকরের সংবিধান বাঁচানোর জন্য লড়ছি।
বিধায়ক আরিফ মাসুদ ‘সিএএ-এনআরসি-এনপিআর’ বিরোধী পোস্টার ছাপিয়ে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে তা দেওয়ালের গায়ে লাগিয়ে দিচ্ছেন। ‘নো সিএএ’-‘নো এনআরসি’-‘নো এনপিআর’ লেখা সম্বলিত পোস্টার লাগানোর পাশাপাশি তিনি বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে কাউকে নথিপত্র না দেখানোর আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সরকার যখন আপনাদের কাছে কাগজপত্র দেখতে চাইবে আপনারা তা দেখাতে সরাসরি অস্বীকার করবেন।
মধ্য প্রদেশে কংগ্রেস দল এবং বিপুল সংখ্যক মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন সিএএ, এনআরসি এবং এনপিআরের বিরোধিতা করছে। আজ (বৃহস্পতিবার) কংগ্রেস বিধায়ক আরিফ মাসুদ ভোপালের জাহাঙ্গীরাবাদে দলিত বস্তিতে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ‘নো এনআরসি, নো সিএএ, নো এনপিআর’ পোস্টার লাগিয়ে জনগণনা চলাকালীন লোকদের কাগজপত্র না দেখাতে আবেদন করেন।
মধ্যপ্রদেশ সরকার আগেই রাজ্যে ‘সিএএ’ কার্যকর না করার ঘোষণা দিয়েছে। এবার কংগ্রেস বিধায়ক আরিফ মাসুদ জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধনও (এনপিআর) বাস্তবায়ন করতে অস্বীকার করেছেন।
এদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্যের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন কমলনাথ সরকারের মনোভাবের কারণে মধ্য প্রদেশের বিজেপি নেতারা ক্ষুব্ধ এবং একনাগাড়ে তারা কংগ্রেসের বিরোধিতা করছেন। এর পাশাপাশি, রাজ্যে সিএএ এবং এনআরসি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিজেপি নেতারা রাজ্যপালের সাথে দেখা করেছেন।#
পার্সটুডে/এমএএইচ/এআর/২০
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।