অসমে বন্যায় ৩৫ জনের প্রাণহানি, মৃতদের পরিবারপিছু ২ লাখ টাকা সাহায্য ঘোষণা
(last modified Sat, 04 Jul 2020 07:31:49 GMT )
জুলাই ০৪, ২০২০ ১৩:৩১ Asia/Dhaka
  • বন্যার কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন অসমের ২২ জেলার মানুষ
    বন্যার কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন অসমের ২২ জেলার মানুষ

ভারতের অসমে ভয়াবহ বন্যায় এ পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের পরিবার পিছু ২ লাখ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। গতকাল (শুক্রবার) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের সঙ্গে কথা বলেন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। মুখ্যমন্ত্রী এসময় রাজ্যে বন্যার পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করান।

অসমের ৩৩ জেলার মধ্যে ২২ টিই বন্যা কবলিত হয়েছে। এরফলে ১৬ লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বর্তমানে ১ হাজার ৬৩৬ টি গ্রাম পানির তলায় ডুবে রয়েছে। ৬৭ হাজার ৬২৮.০৬ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

অসমের ধেনাজি, লখিমপুর, বিশ্বনাথ, চিরাং, দারং, নলবাড়ি, বারপেটা, বঙ্গাইগাঁও, কোকরাঝাড়, ধুবড়ি, দক্ষিণ সলমারা, গোয়ালপাড়া, কামরূপ, কামরূপ (মেট্রো), মরিগাঁও, নগাঁও, গোয়ালঘাট, জোড়হাট, শিবসাগর, ডিব্রুগড়, তিনসুকিয়া, এবং পশ্চিম কারপবি আংলং জেলা পানিমগ্ন হয়েছে।

গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে মানুষ

বন্যায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বরপেটা জেলার। সেখানে ৮ লাখ ৬০ হাজার মানুষ বন্যার কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন। দক্ষিণ সলমারা জেলায় ১ লাখ ৯৫ হাজার মানুষ সমস্যায় রয়েছেন। গোয়ালপাড়াতে ৯৪ হাজার ও মরিগাঁওয়ে ৬২ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১৫৬ টা ত্রাণ শিবির চালু রয়েছে। এসব জায়গায় ১১ হাজার ৭৪১ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

মানুষজনের পাশাপাশি কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানও পানিমগ্ন হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে সেখানে ২৫টি প্রাণীর  মৃত্যু হয়েছে। সেখানকার ২২৩ টি ক্যাম্পের মধ্যে ৭৩ টি ক্যাম্পই পানিমগ্ন হয়েছে। মোরিগাঁও জেলাতে পবিতরা অভয়ারণ্যের ২৫ টি ক্যাম্পের মধ্যে ১২ টি ক্যাম্প পানিমগ্ন হয়ে পড়েছে। এভাবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে পশুরাও দুর্ভোগে পড়েছে।#

পার্সটুডে/এমএএইচ/এআর/৪

ট্যাগ