বিহারে ভয়াবহ বন্যায় ৭৪ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত, কেরালায় ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩
ভারতের বিহার রাজ্যে ভয়াবহ বন্যায় ৭৪ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত এবং ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, কেরালা রাজ্যে ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ জনে পৌঁছেছে।
আজ (সোমবার) সকালে এনডিটিভি জানিয়েছে, বিহারে বন্যায় এ পর্যন্ত ১৬ টি জেলায় ৭৪ লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, বন্যার ফলে সীতামারী, শিবহর, সুপৌল, কিশানগঞ্জ, দ্বারভাঙ্গা, মুজাফফরপুর, গোপালগঞ্জ, পূর্ব চম্পারন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া পশ্চিম চাম্পারন, খাগরিয়া, সারণ, সমস্তিপুর, সিওয়ান, মধুবনী, মধেপুরা ও সাহরসা জেলাও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এসব জেলার ১২৫ টি ব্লকের ১ হাজার ২৩২ টি পঞ্চায়েত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
বন্যার কারণে বাস্তুচ্যুত লোকজনদের জন্য খাবারের জন্য ১ হাজার ২৬৭ টি সামাজিক রান্নাঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দ্বারভাঙ্গা জেলায়। এখানে ১৫ টি ব্লকের ২২০ টি পঞ্চায়েতে ২০ লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্থ জেলাগুলোতে উদ্ধার ও ত্রাণের কাজ চালানোর জন্য জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফের মোট ৩৩টি দল মাঠে নেমেছে।
রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যায় সবচেয়ে বেশি দ্বারভাঙ্গা জেলায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া মুজাফফরপুরে ৬, পশ্চিম চম্পারন জেলায় ৪ এবং সারণ ও সিওয়ানে ২ জন করে প্রাণ হারিয়েছেন।
অন্যদিকে, কেরালায় প্রবল বর্ষণজনিত কারণে ভূমিধসে এ পর্যন্ত ৪৩ জন মারা গেছেন। সম্প্রতি ইদুক্কি জেলায় ভয়াবহ ভূমিধসে হতাহতের ঘটনা ঘটে। গতকাল (রোববার) নতুন করে ১৭ টি লাশ উদ্ধার হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪২ জনে পৌঁছেছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এনডিআরএফের ৫৫ সদস্যের একটি দল উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে।
কেরালায় সম্প্রতি মুষলধারে বৃষ্টিপাত, ভূমিধস এবং বাঁধের গেট খোলার ফলে বিভিন্ন নদীর পানির স্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। এরফলে কোট্টায়াম ও আলাপ্পুজার নিম্নাঞ্চলীয় অঞ্চলে বসবাসকারীদের ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর রোববার ইদুক্কি, মালাপ্পুরম এবং ওয়ানাড জেলার জন্য রেড অ্যালার্ট ঘোষণা করেছে। এসব জেলায় আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে বৃষ্টিপাতের গতি কমে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।#
পার্সটুডে/এমএএইচ/এআর/১০
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।