ঝাড়খণ্ডে তাবলিগ জামাতের ১৭ বিদেশি সদস্যকে জরিমানা করে মুক্তি দিল আদালত
ভারতের ঝাড়খণ্ডের রাঁচির একটি আদালত তাবলিগ জামাতের ১৭ বিদেশি সদস্যকে জরিমানা করে রেহাই দিয়েছে। দেশে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ওই তাবলিগ সদস্যরা দিল্লির নিজামুদ্দিনের মারকাজের কর্মসূচি থেকে ফিরে রাঁচিরএকটি মসজিদে অবস্থান করছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোসহ বিভিন্ন অভিযোগ করা হয়।
গতকাল (সোমবার) রাঁচির সিজেএম আদালত তাদেরকে ৩ মাস কারাবাসের সাজা ও ২ হাজার ২০০ টাকা করে জরিমানা করে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। যদিও আগেই ওই তাবলিগ সদস্যরা বিচারবিভাগীয় হেফাজতে কারাবাসের সাজার মেয়াদ পূর্ণ করেছে। অভিযুক্তরা আংশিক দোষ স্বীকার করায় আদালত তিন মাসের সাজা ও জরিমানা আদায় করে সবাইকে মুক্ত করতে এবং দেশে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। সাজার মেয়াদ আগেই শেষ হওয়ায় বর্তমানে জরিমানা দিয়ে মুক্তি পাবেন তারা।
অভিযুক্তদের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল আল্লাম বলেন, আদালত ওই বিদেশিদের মোট তিন মাস করে কারাবাসের সাজা এবং ২২০০ টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে। ওই ১৭ জন বিদেশি গত ২৫ জুলাই ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছিলেন। এবার নিম্ন আদালতের রায়ের পরে তারা সম্পূর্ণ মুক্ত এবং শিগগিরি তারা দেশে ফিরে যেতে পারবেন।ওই মামলায় বিদেশি নাগরিকদের সহযোগিতা করার জন্য রাঁচির হাজী মেরাজকে আদালত মোট ৬ হাজার ২০০ টাকা জরিমানাসহ মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে।
আদালত ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৬৯ ধারা অনুযায়ী এক হাজার টাকা জরিমানা, ২৯০ ধারা অনুযায়ী ২০০ টাকা এবং মহামারী রোগ আইনের বি ধারায় এক হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
আদালতকে জানানো হয়েছিল যে তাবলিগ জামাত থেকে ১৭ বিদেশিকে গত ৩০ মার্চ রাঁচি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। অভিযুক্তরা ১৫ জুলাই হাইকোর্ট জামিন পেয়েছিলেন। তারা সকলেই পর্যটক হিসেবে ভারতে এসেছিলেন এবং দিল্লির নিজামুদ্দিনে একটি ধর্মীয় সমাবেশে যোগ দিয়ে ১৮ মার্চ রাঁচি পৌঁছেছিলেন। তিন মাসের মধ্যে তাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। ট্যুরিস্ট ভিসায় ছয় মাসেরও কম সময়ের জন্য আসায় প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট করার প্রয়োজন ছিল না। ফলে তারা কোনও আইন লঙ্ঘন করেননি।
করোনাজনিত লকডাউনের কারণে তারা রাঁচিতে আটকে ছিলেন এবং মসজিদে অবস্থান করেছিলেন।গত ৩০ মার্চ রাঁচি পুলিশ হিন্দপিডি বড় মসজিদ এবং মদীনা মসজিদে থাকা তাবলিগ জামায়াতের ১৭ বিদেশি সদস্যকে গ্রেফতার করেছিল। এদেরমধ্যে ৪ নারীও ছিলেন। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ওই বিদেশিরা ব্রিটেন, ওয়েস্টইন্ডিজ, হল্যান্ড, ত্রিনিদাদ, জাম্বিয়া, মালয়েশিয়া প্রভৃতি দেশ থেকে দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজে ধর্মীয় সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে লকডাউন বিধিভঙ্গ, মহামারী আইন ভঙ্গসহ বিভিন্ন অভিযোগ করা হয়েছিল।#
পার্সটুডে/এমএএইচ/এমবিএ/২৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।