এবার দিল্লি সংখ্যালঘু কমিশনের সাবেক প্রধানের বাড়িতে ‘এনআইএ’র তল্লাশি
(last modified Thu, 29 Oct 2020 09:32:12 GMT )
অক্টোবর ২৯, ২০২০ ১৫:৩২ Asia/Dhaka
  • দিল্লি সংখ্যালঘু কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. জাফরুল ইসলাম খান
    দিল্লি সংখ্যালঘু কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. জাফরুল ইসলাম খান

সন্ত্রাসে অর্থ জোগানোর অভিযোগে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) দিল্লি সংখ্যালঘু কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. জাফরুল ইসলাম খানের বাড়ি, অফিসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে তল্লাশি চালিয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে কাশ্মীরের শ্রীনগর ও দিল্লির বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে ‘এনআইএ’। এরমধ্যে ৬টি অলাভজনক সংস্থা এবং অন্য ৯টি স্থান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এনআইএ যে ৬ টি জায়গায় অভিযান চালিয়েছে তারমধ্যে ‘ফালাহ-ই-আম ট্রাস্ট’, ‘চ্যারিটি অ্যালায়েন্স’, হিউম্যান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন’,‘জেকে ইয়াতিম ফাউন্ডেশন‘, ‘স্যালভেশন মুভমেন্ট’, ‘জে অ্যান্ড কে ভয়েস অফ ভিকটিমস’-এর মত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর দফতরেও এ দিন হানা দেয় এনআইএ-র টিম।

এরমধ্যে ‘চ্যারিটি অ্যালায়েন্স’ এবং ‘হিউম্যান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন’ দিল্লিভিত্তিক এবং অন্যগুলো জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগর থেকে কাজ করে। জাফরুল ইসলাম খান চ্যারিটি অ্যালায়েন্সের সভাপতি এবং ‘মিল্লি গেজেট’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক।

এনআইএ’র তল্লাশীর পর ড. জাফরুল ইসলাম খান টুইটারে তিনটি পোস্ট দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, আজ সকাল ৭ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত আমার বাসা ও অফিসে তল্লাশী চালিয়েছে এনআইএ। তারা বহু কাগজপত্র, সব ল্যাপটপ, কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক ও নগদ অর্থ নিয়ে গেছে। তারা তাদের মোবাইলে এনআইএ’র একটি তল্লাশীর আদেশ দেখিয়েছে যেখানে আমাকে এবং আমার এনজিওগুলোকে কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদে জড়িত বলে অভিযুক্ত করা হয়েছে। যদিও কাশ্মীরের সন্ত্রাসীগোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই। এমনকি আমি বহু বছর কাশ্মীরে যাই না। এটি সন্ত্রাস বা দাঙ্গার মামলায় আমাকে জড়ানোর চেষ্টা বলে মনে হচ্ছে।”

ফাইল ফটো

গতকাল (বুধবার) তদন্ত সংস্থা সন্ত্রাস তহবিল মামলায় শ্রীনগরে ১০ টি এবং বেঙ্গালুরুতে একটি জায়গায় অভিযান চালিয়েছিল। এক্ষেত্রে তদন্ত এজেন্সি’র সন্দেহ যে ভারতে কিছু এনজিও কাজ করছে, যারা জম্মু-কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতাকে উৎসাহিত করতে দেশ ও বিদেশ থেকে অর্থ সংগ্রহ করছে। গণমাধ্যমে প্রকাশ, এনআইএ অভিযান চলাকালীন সংস্থাটি কিছু সন্দেহজনক নথি এবং বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করেছে।

বুধবার এনআইএ কর্মকর্তারা ‘জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর কোয়ালিশন অফ সিভিল সোসাইটি’র আহ্বায়ক পারভেজ খুররমের বাড়ি, তাঁর সহযোগী পারভেজ আহমদ বুখারী, পারভেজ আহমদ মাট্টা এবং স্বাতী শেষাদ্রির বাড়ি ও দফতরে অভিযান চালিয়েছিল।

এছাড়া কাশ্মীরে নিখোঁজদের পরিবারের সংগঠন ‘অ্যাসোসিয়েশন অফ পেরেন্টস অফ ডিসঅ্যাপিয়ার্ড পার্সনস’-এর প্রধান পরভিনা অহঙ্গেরের বাড়ি এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘অ্যাথ্রাউট’, ‘গ্রেটার কৈলাস ট্রাস্ট’-এর দফতরেও অভিযান চালানো হয়।

জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও পিডিপি সভানেত্রী মেহবুবা মুফতি ‘এনআইএ’ অভিযানের নিন্দা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোচ্চার হয়েছেন। তিনি তীব্র সমালোচনা ও কটাক্ষের সুরে বলেন, প্রতিবাদীদের ভয় দেখাতে ‘বিজেপির পোষ্য’ হিসেবে কাজ করছে এনআইএ। ‘মানবাধিকার আন্দোলনের নেতা খুররম পারভেজ এবং গ্রেটার কাশ্মীরের দফতরে ‘এনআইএ’র অভিযান আসলে মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করার উদ্দেশ্যে ভারত সরকারের দমনপীড়ন’ বলেও মেহবুবা মুফতি মন্তব্য করেছেন।#  

পার্সটুডে/এমএএইচ/এআর/২৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

 

 

ট্যাগ