দিল্লি সহিংসতা: তাহির হুসেনের স্বস্তি, কাউন্সিলর পদ থেকে অপসারণের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট
(last modified Sat, 07 Nov 2020 09:32:10 GMT )
নভেম্বর ০৭, ২০২০ ১৫:৩২ Asia/Dhaka
  • দিল্লি সহিংসতা: তাহির হুসেনের স্বস্তি, কাউন্সিলর পদ থেকে অপসারণের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট

ভারতের পূর্ব দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার অভিযুক্ত কাউন্সিলর তাহির হুসেনকে অযোগ্য ঘোষণা করার পূর্ব দিল্লি মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের (ইডিএমসি) সিদ্ধান্তকে স্থগিত করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। অর্থাৎ মিউনিসিপাল কর্পোরেশনে তাহির হুসেনের সদস্যপদ অটুট থাকবে। পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে মূল অভিযুক্ত করা হয়েছে।

পূর্ব দিল্লি মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একটি আবেদনের শুনানি করে গতকাল (শুক্রবার) দিল্লি হাইকোর্ট তাহির হুসেনকে অযোগ্য ঘোষণা করার বিষয়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। 

ইডিএমসি’র সিদ্ধান্তের উপরে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেওয়ার সময়ে বিচারক নাজমি ওয়াজিরীর নেতৃত্বে হাইকোর্টের একক বিচারপতির বেঞ্চ সিভিক বডিকে নোটিশ জারি করে এর জবাব চেয়েছে এবং ১৭ মার্চ পরবর্তী শুনানির জন্য বিষয়টি তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

গত ফেব্রুয়ারিতে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে সহিংসতার অভিযোগে অভিযুক্ত আম আদমি পার্টির (আপ) কাউন্সিলর তাহির হুসেনকে ২৬ আগস্ট পূর্ব দিল্লি পৌর কর্পোরেশন তাঁর পদ থেকে বরখাস্ত করেছিল। একটানা তিন মাসের সভায় অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।  কর্পোরেশনের বক্তব্য, একটানা তিন মাসের মধ্যে যদি কোনও কাউন্সিলর কর্পোরেশনের অনুমতি ব্যতীত সমস্ত সভায় অনুপস্থিত থাকেন, তাহলে কর্পোরেশন তাদের আসনটি খালি ঘোষণা করতে পারে।

কিন্তু হাইকোর্টে দায়ের করা এক আবেদনে তাহির হুসেন বলেন,   ইডিএমসি’র উল্লিখিত প্রস্তাবটি স্বেচ্ছাচারিতা ও অবৈধ। তিনি ওই আদেশটিকে সাধারণ ন্যায়বিচারের নীতিমালার বিরোধী বলে মন্তব্য করেন। আদালতে জানানো আবেদনে বলা হয়েছে, আবেদনকারী (তাহির হুসেন) ইডিএমসি’র একটানা তিন মাসের সভা থেকে নিজে অনুপস্থিত নেই।  কারণ, কর্পোরেশনের সভাগুলো আগস্ট মাস পর্যন্ত তিন মাস ধরে যথাক্রমে অনুষ্ঠিত হয়নি যে যার ফলে আবেদনকারীর আসন খালি করার সিদ্ধান্ত  নেওয়া হয়েছে।

আবেদন আরও বলা হয় ইডিএমসি’র সভাগুলো জানুয়ারী, ফেব্রুয়ারি মাসে (দু’মাস)পরপর অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবং তারপরে মার্চ, এপ্রিল এবং মে মাসে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি।  জুন ও জুলাই মাসে পুনরায় বৈঠক  হয়। আদালতে জানানো আবেদনে বলা হয়, আবেদনকারীকে কারণ দর্শানোর  নোটিশ দেওয়া হয়নি বা তার আসন খালি করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শুনানির সুযোগ দেওয়া হয়নি,যা সাধারণ ন্যায়বিচারের নীতিমালার বিরোধী।#

পার্সটুডে/এমএএইচ/এমবিএ/৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

 

ট্যাগ