ভোটার কার্ড থাকলেই নাগরিক, নতুন করে ‘নাগরিকত্ব’ নেওয়ার প্রয়োজন নেই: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক
https://parstoday.ir/bn/news/india-i85834-ভোটার_কার্ড_থাকলেই_নাগরিক_নতুন_করে_নাগরিকত্ব’_নেওয়ার_প্রয়োজন_নেই_জ্যোতিপ্রিয়_মল্লিক
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের খাদ্যমন্ত্রী ও উত্তর ২৪ পরগণা জেলা তৃণমূলের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেছেন, কারও ‘ভোটার কার্ড’ থাকলেই তিনি নাগরিক। নতুন করে ‘নাগরিকত্ব’ নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তিনি আজ (মঙ্গলবার) হাবড়া-১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময়ে ওই মন্তব্য করেন।
(last modified 2025-11-28T10:09:50+00:00 )
জানুয়ারি ০৫, ২০২১ ১৮:৫৮ Asia/Dhaka

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের খাদ্যমন্ত্রী ও উত্তর ২৪ পরগণা জেলা তৃণমূলের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেছেন, কারও ‘ভোটার কার্ড’ থাকলেই তিনি নাগরিক। নতুন করে ‘নাগরিকত্ব’ নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তিনি আজ (মঙ্গলবার) হাবড়া-১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময়ে ওই মন্তব্য করেন।

খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বনগাঁ কেন্দ্রের বিজেপি এমপি শান্তুনু ঠাকুরের উদ্দেশ্যে বলেন, ওঁদের (বিজেপি’র) সঙ্গে থেকে কোনও কাজ হবে না। ওরা ভাঁওতাবাজ, ওরা মিথ্যে কথা বলে, ওরা প্রবঞ্চক, ওরা ধাপ্পাবাজ! যদি কাজ করতে চান আমাদের প্লাটফর্মে চলে আসুন। আমাদের প্লাটফর্মে এসে কাজ করুন। আমরা একসঙ্গে কাজ করব। মতুয়াদের উন্নয়ন আমরা করব।’

ভারতের কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য যে আইন পাশ করেছে সে সম্পর্কে আজ খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘নাগরিকত্বের প্রমাণের দরকার নেই। ভোটার কার্ড থাকলেই তিনি নাগরিক। আবার নতুন করে নাগরিকত্ব নেওয়ার প্রয়োজন নেই। বেনাগরিক হয়ে কী আমি নাগরিক হব?’

বিজেপিশাসিত অসমের উদাহরণ দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, অসমে দেখা গেছে স্বামী রয়েছেন ডিটেনশন ক্যাম্পে, স্ত্রী রয়েছেন বাড়িতে। স্ত্রী পরে শুনতে পেলেন স্বামী ক্যাম্পেই মারা গেছেন। তাঁর মৃতদেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার দেখা গেছে স্ত্রী ক্যাম্পে রয়েছেন, স্বামী বাড়িতে আছেন। সাত দিন পরে শুনলেন স্ত্রী ডিটেনশন ক্যাম্পেই মারা গেছেন। তাঁকে জানানো হয়নি! ওরা আসলে বেনাগরিক করে তারপরে নাগরিক করবে। এ তো অদ্ভুত এক রাজত্বে বসবাস করছি!’

বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আরও বলেন, ‘কিছু কিছু বিষ গাছ দেখেছেন? গাছ গায়ে লাগলে কুটকুট করে। সেই গাছকে টেনে উপড়ে ফেলে দিতে হবে। বিজেপিকে টেনে উপড়ে এই বাংলা থেকে ফেলে দিতে হবে। ওদের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। ওরা পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে দুশো আসন পাওয়ার স্বপ্ন দেখছে। ৪০/৫০ আসন পেরোবে তো? উত্তরবঙ্গে বিজেপি এবার দশটি আসনও পাবে না, জেনে রেখে দিন। এইসব নেতারা যদি বিজেপিতে থাকে যারা প্রত্যেকদিন মুখে একশো লোককে গুলি করছে, একশো লোককে মেরে দিচ্ছে। মুখে মারিতং জগত! কিন্তু একজনেরও সামনে লড়াই করার ক্ষমতা নেই। যদিও আমি সামনাসামনি যুদ্ধে বিশ্বাস করি না।’

তিনি অবশ্য বলেন, ‘তৃণমূল কর্মী আক্রান্ত হলে, দেওয়ালে পিঠ থেকে গেলে মেরে ফেলবেন না, কিন্তু দাওয়াই দেবেন। কম্বল দাওয়াই। বামফ্রন্টের আমলে পুলিশ একসময়ে কম্বল গায়ে জড়িয়ে নিয়ে বেদম লাঠিপেটা করত। সেরকম কম্বল পেটানি দেবেন, আচ্ছা করে ধোলাই দেবেন’ বলেও খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক মন্তব্য করেন।     

পার্সটুডে/এমএএইচ/এআর/৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।