মহারাষ্ট্রে বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া কৃষকদের সমর্থনে ডাকা বনধ সর্বাত্মক
(last modified Mon, 11 Oct 2021 15:24:52 GMT )
অক্টোবর ১১, ২০২১ ২১:২৪ Asia/Dhaka
  • মহারাষ্ট্রে বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া কৃষকদের সমর্থনে ডাকা বনধ সর্বাত্মক

ভারতের মহারাষ্ট্রে কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া আন্দোলনরত কৃষকদের সমর্থনে সর্বাত্মক বনধ পালিত হয়েছে। উত্তর প্রদেশের লখিমপুরের খেরিতে কৃষকদের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আজ (সোমবার) রাজ্যজুড়ে বনধের ডাক দিয়েছিল মহারাষ্ট্রের ‘মহাবিকাশ আঘাড়ি’ জোট সরকার। কার্যত সরকারি বনধের প্রভাব পড়েছে রাজ্যের সর্বত্র। সোমবার সকাল থেকেই স্তব্ধ হয়ে যায় গোটা রাজ্য।

রাজ্যের মন্ত্রী নবাব মালিক বলেন, জোট সরকারের এই বনধকে সমর্থন করেছে বামসহ বেশ কয়েকটি দল এবং শ্রমিক সংগঠন। রাজ্যে শান্তিপূর্ণভাবে বন্‌ধ পালিত হয়েছে। তিনি অবশ্য কয়েকটি জায়গায় পাথর নিক্ষেপের কথা স্বীকার করে 'এ ধরণের তৎপরতা ঠিক নয়' বলে মন্তব্য করেছেন। 

শিবসেনা এমপি সঞ্জয় রাউত বনধ সফল হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যারা বনধের বিরোধিতা করছে তাদের নিজেদের জিজ্ঞাসা করা উচিত যে তারা কি এ দেশের নাগরিক?  তিনি আরও বলেন, 'আমাদের মহারাষ্ট্র বনধের ডাক একশো শতাংশ সফল। লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের পদদলিত করার ঘটনায় মানুষ ক্ষুব্ধ।’ রাজ্যের বিরোধীদল বিজেপি ওই বনধের বিরোধিতা করেছিল।

এদিন বনধের সময়, মুম্বাইয়ের অনেক জায়গায় কমপক্ষে আধা ডজন বেস্ট বাসে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। কিছু বেসরকারি যানবাহনকে বাধা দিতে রাস্তা-ব্লক এবং টায়ারে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। থানেতে এক অটো রিকশা চালককে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। থানের ডেপুটি মেয়রের স্বামী পতিত পবনের বিরুদ্ধে ওই অটো চালককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।   

এশিয়ার পেঁয়াজের প্রধান বাজার লাসালগাঁও বাজার কমিটি বনধে যোগ দেয়। জেলার ১৫ টি বড় বাজার কমিটিও ধর্মঘটে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি নাসিক কৃষি উৎপাদন বাজার কমিটি বনধে শামিল হওয়ায় কয়েক কোটি টাকার ব্যবসা স্থবির হয়ে পড়ে।   

শিবসেনা সমর্থকরা মুম্বাইয়ের বিক্রোলির কাছে ইস্টার্ন এক্সপ্রেসওয়েতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। সোলাপুরেও যুব সেনার পক্ষ থেকে টায়ার পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। কোলহাপুরেও শিবসৈনিকরা জোরপূর্বক হাইওয়েতে যান চলাচলে বাধা দেয়। মানুষের চলাচল বন্ধ ছিল। চন্দ্রপুরে মহাবিকাশ আঘাড়ি সমর্থকরা দোকান বন্ধ করার জন্য সহিংসতার পথ বেছে নেয়। পুলিশ হস্তক্ষেপ করে দোকানদারদের মারধরের হাত থেকে বাঁচায়। 

এদিকে, মহারাষ্ট্রের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেন, ‘মহাবিকাশ আগাড়ি সরকার ক্ষমতায় আসার পরে, এ পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে দুই হাজার কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। সাম্প্রতিক বৃষ্টি ও বন্যার কারণে কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তাঁদের জন্য কোনো সাহায্য প্রদান করা হয়নি। মারাঠওয়াড়ার কৃষকদের চোখের জল মুছতে তাদের সময় নেই। যদি কৃষকদের প্রতি এতই সহানুভূতি থাকে তাহলে মহাবিকাশ আঘাড়ি সরকার মারাঠওয়াড়ার কৃষকদের জন্য প্যাকেজ ঘোষণা করছে না কেন?’ তিনি রাজ্য সরকারের বনধকে ঢং বলেও কটাক্ষ করেছেন।#    

পার্সটুডে/এমএএইচ/এআর/১১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ