দুই দশক পর আফগানিস্তানের হেলমান্দ নদীর পানির হিস্যা পাচ্ছে ইরান
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i102716
আফগানিস্তানের তালেবান সরকার হিরমান্দ বা হেলমান্দ নদীর উপর নির্মিত কামাল খান বাধের মুখ খুলে দিয়েছে এবং দুই দশক পর প্রতিবেশী ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান এই নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা পাচ্ছে। তালেবান সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন ইরানের সরকারি কর্মকর্তারা।
(last modified 2025-07-09T12:00:31+00:00 )
জানুয়ারি ২০, ২০২২ ১৪:৪৩ Asia/Dhaka
  • কামাল খান বাধের মুখ খুল দেয়া হয়েছে
    কামাল খান বাধের মুখ খুল দেয়া হয়েছে

আফগানিস্তানের তালেবান সরকার হিরমান্দ বা হেলমান্দ নদীর উপর নির্মিত কামাল খান বাধের মুখ খুলে দিয়েছে এবং দুই দশক পর প্রতিবেশী ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান এই নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা পাচ্ছে। তালেবান সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন ইরানের সরকারি কর্মকর্তারা।

গতকাল (মঙ্গলবার) বাধের মুখ খুলে দেয়া হয় এবং সেখান থেকে ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশের হামুন হ্রদের দিকে পানি এগিয়ে চলেছে। 

সিস্তান বালুচিস্তান প্রদেশের গভর্নর হোসেইন মোদাররেস খিয়াবানি জানিয়েছেন, দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে কামাল খান বাঁধের পানি ইরানের ভূখণ্ডে এসে পৌঁছাবে। তিনি আফগানিস্তানের কোনো কোনো কর্মকর্তার দাবি নাকচ করে বলেন, কামাল খান বাঁধের পানি ইরানকে লক্ষ্য করেই ছাড়া হয়েছে এবং এ ব্যাপারে আফগানিস্তানে নিযুক্ত ইরানি প্রেসিডেন্টের বিশেষ প্রতিনিধি, ইরানের জ্বালানি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আফগানিস্তানের স্থানীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনার পর এই বাধ খোলা হয়েছে।

কামাল খান বাধের পানি যাচ্ছে ইরানের সিস্তান বালুচিস্তান প্রদেশের দিকে

গতকাল আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত জ্বালানি ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ মানসুর এক ভিডিও বার্তায় বলেছিলেন, কামাল খান বাঁধের পানি আফগানিস্তানের নিমরুজ  প্রদেশের কৃষকদের অনুরোধে ছাড়া হয়েছে। পাঁচ দশক আগে ইরানের সঙ্গে সই হওয়া চুক্তির আওতায় তেহরানকে হিস্যা দিতে এই পানি ছাড়া হয় নি বলে তিনি দাবি করেন।

হামুন হ্রদ

কামাল খান বাঁধের পানি ছাড়ার পদক্ষেপকে ইরানি প্রেসিডেন্টের আফগান বিষয়ক বিশেষ দূত হাসান কাজেমি কোমি স্বাগত জানিয়ে বলেন, ইরান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে সম্প্রতি যে চুক্তি সই হয়েছে তার আলোকে তালেবান সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে। সম্প্রতি আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে ইরান সফর করেন এবং সে সময় বেশ কয়েকটি চুক্তি সই হয়।

১৯৭৩ সালে ইরান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে নদীর পানি বণ্টন প্রশ্ন একটি চুক্তি হয়। ওই চুক্তির আওতায় ইরান প্রতিবছর ৮০ কোটি ঘনমিটার পানি পাবে। কিন্তু আফগানিস্তানে মার্কিন দখলদারিত্বের পর দেশটির নতজানু সরকারগুলো ওয়াশিংটনের ষড়যন্ত্রে ইরানের ন্যায্য হিস্যা দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং কামাল খান বাধের মুখ বন্ধ করে দেয়। এর ফলে ইরানের সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশ মারাত্মকভাবে পানি সংকটের মুখে পড়ে এবং হামুন হ্রদ শুকিয়ে অনেকটা মরুভূমিতে পরিণত হয়। ইরানে হিরমান্দ নামে পরিচিত হলেও আফগানিস্তানে এ নদীকে হেলমান্দ নদী বলা হয়।#

পার্সটুডে/এসআইবি/২০