ভারতের পানি আগ্রাসনের প্রতিবাদে তিস্তা অববাহিকায় লাখো মানুষের পদযাত্রা
https://parstoday.ir/bn/news/event-i147156-ভারতের_পানি_আগ্রাসনের_প্রতিবাদে_তিস্তা_অববাহিকায়_লাখো_মানুষের_পদযাত্রা
তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও মেগা প্রকল্প অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের ১১টি স্থানে গণপদযাত্রা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। অংশ নিয়েছেন কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, রংপুর, লালমনিরহাট ও গাইবান্ধাসহ উত্তরের সব জেলার মানুষ।
(last modified 2025-09-11T14:06:22+00:00 )
ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৫ ১৬:৫৮ Asia/Dhaka
  • ভারতের পানি আগ্রাসনের প্রতিবাদে তিস্তা অববাহিকায় লাখো মানুষের পদযাত্রা

তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও মেগা প্রকল্প অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের ১১টি স্থানে গণপদযাত্রা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। অংশ নিয়েছেন কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, রংপুর, লালমনিরহাট ও গাইবান্ধাসহ উত্তরের সব জেলার মানুষ।

আজ (মঙ্গলবার) বেলা পৌনে ১১টার দিকে রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কের তিস্তা সড়ক সেতু থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি’র প্রধান সমন্বয়কারী ও বিএনপির রংপুর বিভাগীয় তিস্তা বাচানোর পদযাত্রার জনস্রোত সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর নেতৃত্বে পথযাত্রায় দলের স্থানীয় নেতাকর্মীসহ কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেন। তিস্তা সেতু থেকে পথযাত্রাটি যখন রংপুরের কাউনিয়ায় আসে, তখন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ও কাউনিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমদাদুল হক ভরসার নেতৃত্বে বিএনপির রংপুরের নেতাকর্মীরা যোগ দেন। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে শিশু, কিশোর, নারী ও পুরুষ অংশ নেন।

লালমনিরহাটের তিস্তা রেলসেতুসংলগ্ন নদীতে নেমে কয়েক হাজার মানুষ প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন কর্মসূচি পালন করেন।

বেলা পৌনে ১২টার দিকে তিন কিলোমিটার দূরে কাউনিয়া উপজেলায় গিয়ে পথযাত্রা পৌঁছায়। সেখান থেকে আবার তিস্তা সেতুর দিকে গিয়ে শেষ হয় এই পদযাত্রা।

ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দু'দিনব্যাপী তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের দ্বিতীয় ও শেষ দিন আজ (মঙ্গলবার) সকালে লালমনিরহাটের তিস্তা ব্রিজ থেকে শুরু হয় পদযাত্রা। বেলা দেড়টার দিকে লালমনিরহাটের তিস্তা রেলসেতুসংলগ্ন নদীতে নেমে কয়েক হাজার মানুষ এ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন।

এ সময় আন্দোলনকারীরা বলেন, ভারত বছরের পর বছর তিস্তা নদীর পানি একতরফাভাবে প্রত্যাহার করেছে যার মাশুল দিচ্ছে বাংলাদেশের পাঁচ জেলার অন্তত দুই কোটি মানুষ। শুষ্ক মৌসুমে এসব এলাকার মানুষ ফসল ফলাতে পারে না। আবার বন্যার সময় হঠাৎ করে পানি ছেড়ে দেওয়ায় ব্যাপক এলাকা ভাঙনের শিকার হয়। প্রায় এক ঘণ্টা আন্দোলনকারীরা পানিতে অবস্থান করেন।

লাখো জনতার অংশগ্রহণে প্রতিবাদ জানানো হয় আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে ভারতের বাঁধ নির্মাণের। তিন কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে রংপুরের কাউনিয়া বাজারে ঘুরে আবারও লালমনিরহাটের তিস্তা ব্রিজে এসে শেষ হয় পদযাত্রা।#

পার্সটুডে/এমএআর/১৮