তেহরানে ব্রুনেইয়ের নতুন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাতে রাইসি
মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী তেহরান: ইরানের প্রেসিডেন্ট
ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, তাঁর দেশ গোটা বিশ্বের সঙ্গে বিশেষ করে প্রতিবেশী ও মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী। তেহরানে নিযুক্ত ব্রুনেইয়ের নতুন রাষ্ট্রদূত ইসমাইল আব্দুল মানাপ আজ ইরানি প্রেসিডেন্টের কাছে তার পরিচয়পত্র জমা দেওয়ার সময় দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনার সময় ইরানের প্রেসিডেন্ট এ কথা বলেছেন।
গত বছর ৩ আগস্ট ইরানের ১৩তম সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে পররাষ্ট্র ক্ষেত্রে ভারসাম্য নীতি গ্রহণ করে আসছে এবং সব মুসলিম দেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ও সহযোগিতা বিস্তারের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছে। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সব বৃহৎ শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক বিস্তারের বিষয়টিকে জোর দিয়ে আসছে ইরান। জনাব রাইসি এর আগে প্রেসিডেন্ট হিসেবে পার্লামেন্টে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বর্তমান বিশ্বে চলমান অস্থিরতার কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন, নয়া পরাশক্তিগুলোর সঙ্গে সংলাপ, নতুন বিশ্ব পরিস্থিতি উপলব্ধি ও ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্র নীতির মাধ্যমেই কেবল জাতিগুলোর স্বার্থ রক্ষা করা সম্ভব।
প্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের ক্ষেত্রে ইরানের বর্তমান সরকার সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা ও ইকো অর্থনৈতিক জোটের মতো আঞ্চলিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের নীতি গ্রহণ করেছে। জাতীয় স্বার্থকে অক্ষুণ্ণ রাখতে ইরান যে কোনো সুযোগকে কাজে লাগাতে বদ্ধ পরিকর। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আব্দুল্লাহিয়ান সম্প্রতি নিউইয়র্ক সফরকালে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে এবং পরমাণু সমঝোতার সাথে সংশ্লিষ্ট চার যোগ এক গ্রুপের পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের সাথে সাক্ষাতে পররাষ্ট্র ক্ষেত্রে ইরানের ভারসাম্যপূর্ণ নীতির কথা জানিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে আব্দুল্লাহিয়ান বলেন ইউরোপের ১৮টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে তার সাক্ষাত থেকে বোঝা যায় তেহরানের প্রাচ্য নীতির অর্থ এ নয় যে তারা পাশ্চাত্যকে অগ্রাহ্য করতে চায়। বরং ইরান চায় সবার সঙ্গেই সুসম্পর্ক বজায় রাখতে।
বর্তমানে পশ্চিম এশিয়া জুড়ে যে অশান্ত পরিবেশ বিরাজ করছে তার ফলে আমেরিকা ওই অঞ্চল থেকে ক্রমেই সরে যেতে বাধ্য হচ্ছে। এ অবস্থায় বিরাজমান হুমকি মোকাবেলা এবং জাতিগুলোর স্বার্থ রক্ষায় অর্থনৈতিক উন্নতির সুযোগকে কাজে লাগানোর জন্য এ অঞ্চলের মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সংহতি জোরদার আগের চেয়ে আরো বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে। এ কারণে ইরানের বর্তমান সরকার প্রতিবেশী সব মুসলিম দেশের সাথে অর্থনৈতিকসহ সব বিষয়ে সম্পর্ক জোরদারের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। একই সঙ্গে আঞ্চলিক উত্তেজনা ও মতপার্থক্য নিরসনেরও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তেহরান।
ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ ওয়াহিদ বলেছেন, প্রতিবেশী সব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে ইরান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/২৫
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।