ইরানের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট হুমকি রয়েছে: পেন্টাগন
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কোরবি ইরানের পশ্চিম এশিয়া নীতির ব্যাপারে ভিত্তিহীন দাবির পুনরাবৃত্তি করে বলেছেন, ইরানের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট হুমকি রয়েছে।
তিনি পশ্চিম এশিয়ায় ইরানের পক্ষ থেকে বিরাজমান কথিত হুমকির দাবি করে আমেরিকা ও তার মিত্রদের যৌথ নৌ মহড়ার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, শুধু আমরাই নয় একইসঙ্গে এ অঞ্চলে আমাদের মিত্রদেরকেও এ ধরনের হুমকি মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে হবে। পেন্টাগনের মুখপাত্র আরো দাবি করেছেন, তাদের মহড়া এমন সময় অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন আমরা এ নিশ্চয়তা অর্জন করতে চাই যে আমরা ইরানের হুমকি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছি।
বর্তমানে পশ্চিম এশিয়ায় আন্তর্জাতিক পানিসীমায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ১৮ দিনের যৌথ নৌ মহড়া চলছে। বহু বছর ধরে আমেরিকা এ অঞ্চলে ইরান ভীতি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। এরই অংশ হিসেবে তারা রাজনৈতিকভাবে ইরানকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কোণঠাসা করার, এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বিরোধ বাধানো, ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ সৃষ্টির জন্য ইরান বিরোধী জোট গঠন করা, পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের কৌশলগত এলাকায় নিজেদের সামরিক উপস্থিতি জোরদার করা, ইসরাইলের স্বার্থ রক্ষা করা এবং আরব দেশগুলোকে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে উৎসাহিত করার চেষ্টা করছে।
এদিকে, মার্কিন কর্মকর্তারা এ অঞ্চলের আরব দেশগুলোর নিরাপত্তা দিতে বদ্ধ পরিকর বলে দাবি করলেও তারা আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করায় আরব মিত্ররা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এবং আমেরিকার সহযোগিতা পাওয়ার বিষয়ে তাদের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, এ অঞ্চলে মার্কিন উপস্থিতির কারণেই আঞ্চলিক নিরাপত্তাহীনতা ও অস্থিতিশীলতা দেখা দিয়েছে। উদাহরণ হিসেবে ইরাক, সিরিয়া ও আফগানিস্তানে মার্কিন হস্তক্ষেপ ও সামরিক উপস্থিতির কথা উল্লেখ করা যায় যার, যার ফলে ওই দেশগুলোতে চরম অরাজকতা তৈরি হয়েছে।
এ কারণে ইরান সবসময়ই এ অঞ্চলের দেশগুলোকে নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে আসছে। তেহরান মনে করে বাইরের হস্তক্ষেপ সমগ্র এ অঞ্চলের নিরাপত্তা ও জাতীয় স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। তাই বাইরের হস্তক্ষেপ নয় বরং নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা জোরদারের মাধ্যমেই কেবল নিরাপত্তা জোরদার করা সম্ভব। ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী শামখানি গত ৬ ডিসেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শেইখ তাহনুন বিন যায়েদের সঙ্গে সাক্ষাতে আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদারে তেহরানের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন। তিনি বলেন কেবলমাত্র এ দেশগুলোর পারস্পরিক সংলাপ ও সহযোগিতার মাধ্যমেই নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। #
পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/২
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।