পালিত হচ্ছে ইমাম হোসাইন (আ.)'র শাহাদাৎ বার্ষিকী
গোটা ইরান শোকে আচ্ছন্ন
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানে আজ ইমাম হোসাইন (আ.)'র শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত হচ্ছে। ৬৮০ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে ইরাকের কারবালায় মহানবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.)'র প্রাণপ্রিয় নাতি ইমাম হোসাইন (আ.) ইসলামের শত্রুদের হাতে নির্মমভাবে শহীদ হন।
এ উপলক্ষে আজ সারা ইরানে শোক পালিত হচ্ছে। এ শোকের মাতমে শামিল হয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। দেশের শহর-বন্দর, রাস্তা-ঘাট, খোলা ময়দান সর্বত্রই একই চিত্র। কেউ কেউ আবার শোকার্ত জনতার মাঝে নানা খাদ্য সামগ্রী বিলি করছেন।
১০ মহররম বা আশুরার দিনে কারবালার পরিস্থিতি কেমন ছিল, কীভাবে ইমাম হোসাইন (আ.) ও তাঁর সঙ্গীদের শহীদ করা হয়েছিল তা বর্ণনা করা হচ্ছে শোকানুষ্ঠানগুলোতে। ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে বক্তারা যেমন কাঁদছেন তেমনি কাঁদছেন উপস্থিত জনতাও। চোখ দিয়ে অঝোরে পানি পড়ছে। এ এক ব্যতিক্রমী দৃশ্য। অতিটান ও ভালোবাসা না থাকলে কারো জন্য এভাবে চোখে পানি আসার কথা নয়।
শোকানুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের কেউ কেউ সাংবাদিকদের বলেছেন, 'তারা সেদিন বেঁচে থাকলে অবশ্যই ইমাম হোসাইন (আ.)'র পক্ষে যুদ্ধ করে শাহাদাৎবরণ করতেন। কারণ ইমাম হোসাইন (আ.)'র লড়াই ছিল কেবলি আল্লাহ ও ইসলামের জন্য। তিনি হজরত মুহাম্মাদ (সা)'র পথ অনুসরণ করে জালিমের বিরুদ্ধে লড়াই করে জীবন উৎসর্গ করেছেন। প্রকৃত ইসলাম ধর্মকে রক্ষায় প্রাণ দিয়েছেন তিনি। তাঁর শাহাদাতের বদৌলতে সঠিক ইসলাম আজও টিকে রয়েছে। ইমাম হোসাইন (আ.) শিখিয়ে গেছেন মুসলমান কখনো মৃত্যুকে ভয় করে না, জুলুমের বিরুদ্ধে প্রাণ দিতে কুণ্ঠাবোধ করে না।
ইমাম হোসাইন (আ.)'র শাহাদাৎ উপলক্ষে ইরানে প্রতি বছর ১ মহররম থেকে ১০ মহররম পর্যন্ত শোকানুষ্ঠান পালিত হয়। এ উপলক্ষে ৯ ও ১০ মহররম সরকারি ছুটি থাকে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী নিজে শোকানুষ্ঠানের আয়োজন করেন।#
পার্সটুডে/এসএ/৮
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।