৫৮ বছর আগে ইমাম খোমেনী (রহ) ইসরাইলের বিরুদ্ধে কোন্ ফতোয়া জারি করেছিলেন?
-
ইরানের ইসলামি বিপ্লবের প্রতিষ্ঠাতা হযরত ইমাম খোমেনী (রহ)
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম খোমেনী (রহ.) ফার্সি ১৩৪৬ সালের ১৭ খোরদদ ( ৭ জুন) ইহুদিবাদী ইসরাইলকে বয়কট করা বিষয়ে একটি ফতোয়া জারি করেছিলেন।
৭ জুন ইহুদিবাদী ইসরাইলি শাসক গোষ্ঠীকে বর্জন করার ইমাম খোমেনী কর্তৃক প্রদত্ত ফতোয়ার বার্ষিকী। পার্সটুডে অনুসারে, আরব ও ইসরাইলি শাসক গোষ্ঠীর মধ্যে ৬ দিনের যুদ্ধ উপলক্ষে এক বার্তায় তিনি ইসলামি রাষ্ট্র ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে যেকোনো বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি মুসলিম সমাজে ইসরাইলি পণ্য ব্যবহার নিষিদ্ধ করার বিষয়ে একটি বিপ্লবী ফতোয়া জারি করেছিলেন।
ইমাম খোমেনীর বার্তার মূল বক্তব্য নিম্নরূপ:
পরম করুণাময়, পরম করুণাময় আল্লাহর নামে
আমি বারবার মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে বিদেশী এবং তাদের এজেন্টদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছি যারা মুসলিম ও ইসলামি রাষ্ট্রের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে এবং তাদের আধ্যাত্মিক ও বস্তুগত সম্পদ শোষণ করে আমাদের প্রিয় দেশগুলোকে ঔপনিবেশিক বন্দীদশা এবং অপমানের মধ্যে রাখতে চায়।
আমি বারবার সরকারগুলোকে বিশেষ করে ইরান সরকারকে ইসরাইল এবং এর বিপজ্জনক এজেন্টদের সম্পর্কে সতর্ক করেছি। এই দুর্নীতিগ্রস্ত উপাদান যা বৃহৎ শক্তির সমর্থনে ইসলামি দেশগুলোর হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে এবং যাদের দুর্নীতির শিকড় প্রতিদিন মুসলিম দেশগুলোকে হুমকির মুখে ফেলেছে মুসলিম দেশগুলো এবং ইসলামের মহান জাতিগুলোর প্রচেষ্টায় তা নির্মূল করতে হবে। ইসরাইল ইসলামি দেশগুলোর বিরুদ্ধে একটি সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করেছে এবং মুসলিম দেশ এবং জাতিগুলোর জন্য এটি নির্মূল করা অপরিহার্য। ইসরাইলকে সাহায্য করা তা সে অস্ত্র ও বিস্ফোরক বিক্রি করুক বা তেল বিক্রি করুক তা নিষিদ্ধ এবং তা ইসলামের বিরুদ্ধে। ইসরাইল এবং তার এজেন্টদের সাথে সম্পর্ক তা সে বাণিজ্যিক সম্পর্ক হোক বা রাজনৈতিক সম্পর্ক, নিষিদ্ধ এবং ইসলামের বিরুদ্ধে। মুসলমানদের অবশ্যই ইসরাইলের পণ্য ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। আমি সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে ইসলাম এবং মুসলমানদের সাহায্য করার জন্য প্রার্থনা করছি।#
পার্সটুডে/এমবিএ/৭
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।