আটক সম্পদ পুনরুদ্ধারে আন্তর্জাতিক আদালতে আমেরিকার বিরুদ্ধে ইরানের মামলা দায়ের
(last modified Tue, 20 Sep 2022 13:29:30 GMT )
সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২ ১৯:২৯ Asia/Dhaka
  • আটক সম্পদ পুনরুদ্ধারে আন্তর্জাতিক আদালতে আমেরিকার বিরুদ্ধে ইরানের মামলা দায়ের

ইরান সোমবার তার আটককৃত সম্পদ ফিরিয়ে আনার জন্য আমেরিকার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের লক্ষ্যে নিউইয়র্ক সফরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাথে সাথে ইরান প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার অর্থমূল্যের আটককৃত সম্পদ পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে নেদারল্যান্ডের হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একটি নতুন মামলা দায়ের করেছে।

এই সপ্তাহে আন্তর্জাতিক আদালত ইরানের জব্দ করা সম্পদ বিষয়ক মামলার প্রথম শুনানি করবে। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইরান তার অভিযোগে বিশ্বাস করে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশের মধ্যে ১৯৫৫ সালের চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। এই চুক্তিতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং কনস্যুলার অধিকারও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে যে তেহরানের অনথিভুক্ত নানা কর্মকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দিতে ইরানের জব্দকৃত সম্পদ ব্যবহার করা হবে। আমেরিকার ইরান বিরোধী তৎপরতার ধারাবাহিকতায় মার্কিন বিচার আদালত দাবি করছে যে ১৯৮৩ সালের ২৩ অক্টোবর লেবাননের রাজধানী বৈরুতে মার্কিন সেনাবাহিনীর দপ্তরে বোমা হামলায় নিহত ২৪১ সেনার পরিবারের সদস্যরা ইরানের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে চায়। 

২০১৬ সালের ২০ এপ্রিল মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট নিউইয়র্কে জব্দ করা ইরানের ১.৭৫ বিলিয়ন ডলার অর্থমূল্যের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার অনুমোদন দেয়। ইরানের আটককৃত সম্পদ সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত পদ্ধতির কাঠামোর আওতায় নেয়া হয়েছিল।

মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট আমেরিকায় থাকা ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে যখন কোন আন্তর্জাতিক আদালত লেবাননের বৈরুতে অবস্থিত মার্কিন সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরে বিস্ফোরণে জড়িত থাকার অভিযোগে ইরানকে দায়ী করে কোনো রায় নি। 

কেবল মাত্র ইরানের উপর চাপ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে এবং তেহরান যাতে তার  সম্পদের ওপর প্রবেশীধিকার না পায় তার জন্য  আমেরিকার বিচার ব্যবস্থা বহুবার কোনো ধরনের বৈধ প্রমাণ ছাড়াই সন্ত্রাসী ঘটনাগুলোতে ইরানকে জড়িয়ে রায় দিয়েছে ।

অন্যদিকে মার্কিন সরকার ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় যেসব দেশের সন্ত্রাসীরা মার্কিন নাগরিকদের হত্যা করেছে সেসব দেশের সরকারের সাথে কেবল ঘনিষ্ঠ সম্পর্কই রাখছে না বরং তারা সব সময় এসব দেশকে বিশেষ করে সৌদি আরবের মতো সরকারকে মার্কিন বিচার ব্যবস্থার আড়ালে রাখতে কাজ করছে। # 

পার্সটুডে/এমএএইচ/এমবিএ/২০  

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।