নভেম্বর ০২, ২০২২ ২১:০৩ Asia/Dhaka
  • সর্বোচ্চ নেতা আরটিনের মাথায় চুমু খাচ্ছেন
    সর্বোচ্চ নেতা আরটিনের মাথায় চুমু খাচ্ছেন

ইরানের ফার্স প্রদেশের শিরাজ শহরে হজরত আহমাদ বিন মূসা (আ.)'র পবিত্র মাজারে সন্ত্রাসী হামলায় আহত শিশু আরটিন আজ ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর সঙ্গে দেখা করেছে। শিশুটি ঐ সন্ত্রাসী হামলায় তার বাবা, মা ও ভাইকে হারিয়েছে।

আজ সর্বোচ্চ নেতার কাছে ঐ শিশুকে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় সর্বোচ্চ নেতা তার মাথায় চুমু খান এবং আদর করেন। এরপর আরটিন অন্যদের সঙ্গে বসে তাঁর বক্তব্য শুনেছে। আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, এই সন্ত্রাসী ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা নিশ্চিতভাবে শাস্তি পাবে।

আরটিন

 

গত সপ্তাহে ইরানের ফার্স প্রদেশের কেন্দ্রীয় শহর শিরাজে হজরত আহমাদ বিন মূসা (আ.)'র পবিত্র মাজারে দায়েশ বা আইএস'র এক সন্ত্রাসীর বন্দুক হামলায় দুই শিশুসহ ১৩ জন জিয়ারতকারী শহীদ ও ৩০ জন আহত হয়েছেন।

শিশু আরটিনের চোখের সামনেই তার বাবা, মা ও ভাই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। আইএস সন্ত্রাসী তার সব কিছু কেড়ে নিয়ে গেলেও অল্পের জন্য বেঁচে গেছে সে। পাষণ্ড ঘাতকের বুলেট তার সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়গুলো ছিন্নভিন্ন করে দিয়ে গেছে। এই শিশুটি বেঁচে থাকলেও সব কিছু হারানোর বিভৎস স্মৃতি তাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে, হয়তো এই স্মৃতি তাকে তাড়াবে আজীবন। 

সম্প্রতি এই আরটিনের সঙ্গে কথা বলেছেন ইরানের সাংবাদিকেরা।

তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল- কার সঙ্গে মাজারে গিয়েছিল সে?

তার উত্তর ছিল-বাবা, মা ও ভাইয়ের সঙ্গে। 

কী ঘটেছিল?

-বন্দুক দিয়ে হামলা চালিয়েছে। 

হামলার সময় তোমরা কোথায় ছিলে?

-আমরা গাড়ির দিকে যাচ্ছিলাম।

তুমি এখন ভালো আছ?

-হ্যা, ভালো।

 

এ উত্তরটা দিয়েই মুখ ফিরিয়ে নিয়ে কথা বন্ধ করে দেয় আরটিন। তার শরীরের ক্ষতগুলো হয়তো শুকিয়ে যাবে চিকিৎসায়, কিন্তু চোখের সামনে প্রিয়জন হারানোর সেই অদৃশ্য ক্ষত থেকে যাবে চিরকাল। 

বাবা, মা ও ভাই হারানো এই নিষ্পাপ শিশুটিকে এখন কে দেখবে? একদিকে শরীরে আঘাতের ব্যথা, অন্যদিকে বাবা, মা ও ভাই হারানোর কষ্ট- এতটুকু শিশু তা সইতে পারবে? আরটিনের বর্তমান ও ভবিষ্যত কষ্টের কথা ভেবে কাঁদছে ইরানি জাতি।#

পার্সটুডে/এসএ/২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ