নভেম্বর ২৯, ২০২২ ১৩:০১ Asia/Dhaka

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের শত্রুরা ইরানকে সর্বত্র 'মেরুকরণ' করতে চায়। ইরানে নতুন করে নৈরাজ্যের সূচনায় শত্রুরা তাদের লক্ষ্য বাস্তবায়নে উঠেপড়ে লেগে গেছে। শত্রুরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে মনোযোগ দিয়েছে।

প্রথমত তারা শাসক এবং জনগণের মাঝে বিভেদরেখা টানতে চায়। তারা দেখাতে চায় সরকার জনগণের কথায় কান দেয় না। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা থেকে ভিন্ন পথ অনুসরণ করে। তারা সেনাবাহিনীর সঙ্গেও দেশের নাগরিকদের বিভাজন দেখাতে চায়। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠির মধ্যকার বিভেদের পাশাপাশি শিয়া এবং সুন্নিদের মাঝেও মেরুকরণ করতে চায়। কিন্তু কী তাদের স্বার্থ? এই জিজ্ঞাসার কয়েকটি জবাব নিয়ে ভাবা যেতে পারে।

প্রথম টার্গেট হলো ইরানি সমাজে ফাটল সৃষ্টি করা। একটি ঐক্যবদ্ধ সমাজকে খণ্ড খণ্ড করে অসংলগ্ন একটি সমাজে পরিণত করা। এ কাজ সম্ভব হলে সামাজিক সংহতি নষ্ট হয়ে যাবে, রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে এবং নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করা সহজ হবে। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিও ব্যাহত হবে। এই লক্ষ্যেই সম্প্রতি ইরানের ইস্ফাহান, শিরাজ ও ইজেহসহ বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে।

শত্রুদের দ্বিতীয় টার্গেট হলো সামাজিক পুঁজি দুর্বল করে দেওয়া। ট্রাম্পের সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের ব্যর্থ প্রচেষ্টা এই লক্ষ্যেই ছিল। ইরানের বিরুদ্ধে শত্রুদের নরম যুদ্ধ এবং মিডিয়া যুদ্ধের প্রধান লক্ষ্য এটাই। গুরুত্বপূর্ণ এই লক্ষ্য অর্জনে আগে তারা অর্থনৈতিক ইস্যুতে ফোকাস করেছিল আর এখন আইডেন্টিটির ওপর ফোকাস করা হচ্ছে।

মেরুকরণের তৃতীয় টার্গেট হলো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইরানকে কোনঠাসা করে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া। পশ্চিমাদের সঙ্গে ইরানের আলোচনায় বন্ধ করে দেওয়ার লক্ষ্য ছিল এটাই। অবশ্য আলোচনা কার্যত বন্ধ হলেও মতামত আদান-প্রদান এখনও চলছে। বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে আমেরিকা ইরানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আলোচনা থেকে যেন কিছু বিষয় বাদ দেওয়া হয়। নৈরাজ্যের কারণে সরকার চাপের মুখে রয়েছে বলে তারা এই ছাড়া দিতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানায়। এটা একান্তই তাদের অভিমত। ইরান সরকারের মাঝে তা লক্ষ্য করা যায় নি।

মেরুকরণের চতুর্থ টার্গেট হলো ইরানের সরকার ও সরকার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। নতুন প্রজন্মকে শত্রুরা ভুল, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলার এটাই কারণ। ইরানের অভ্যন্তরে এবং বহির্বিশ্বে শত্রুরা প্রমাণ করতে চায় যে ইরানের জনগণ ইসলামি সরকার ব্যবস্থার বিরোধী। এই সরকার জোর করে অবৈধভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে রেখেছে। অথচ কে না জানে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটেই এই সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যদিও ইসলামি বিপ্লব বিজয়ের পর থেকেই শত্রুরা এই সরকার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিষোদগার করে এসেছে।#

পার্সটুডে/এনএম/২৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ